খেলায় কেউ কারও বন্ধু হয় না। তা আরও একবার প্রমাণ করলো বাংলাদেশ। যে শ্রীলঙ্কার জয়ে বাংলাদেশ সুযোগ পেলো এশিয়া কাপের সুপার ফোরে খেলার, সে দলকেই হারিয়ে দিলো টাইগাররা। সঙ্গে গ্রুপ পর্বে হেরে যাওয়ার মধুর প্রতিশোধটাও নিয়ে নিলো লিটন দাসের দল।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে আবারও নাগিন ডার্বি। দুবাইয়ের মাঠে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস।
আগে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কান দুই ওপেনার নিশাঙ্কা ও কুশাল মেন্ডিস শুরুটা করেন দুর্দান্ত। নাসুম, শরিফুলদের শুরু থেকেই শাসন করতে থাকেন তারা। তবে ৪৪ রানে নিশাঙ্কাকে আউট করেন তাসকিন। এরপর ৫৮ রানের মাথায় মেন্ডিসকে সাইফের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান শেখ মাহেদী। এরপর ধুঁকতে থাকা কামিল মিশরাকেও বোল্ড করেন মাহেদী। স্বস্তি ফেরে টাইগার শিবিরে।
এরপর কুশাল পেরেরাকে ফেরান মুস্তাফিজ। তবে একপাশ আগলে রেখে ছড়ি ঘোরান দাসুন শানাকা। তার ব্যাটিং নৈপুণ্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে শেষ পর্যন্ত সাত উইকেটে ১৬৮ রান তোলে লঙ্কানরা। ৩৭ বলে শানাকা উপহার দেন ৬৪ রানের ইনিংস। চার ওভারে ২০ রান খরচায় তিন উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজ।
চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়ায় অবশ্য শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই টাইগাররা হারায় ওপেনার তানজিদ তামিমের উইকেট। তবে অধিনায়ক লিটন দাস নেমে আরেক ওপেনার সাইফ হাসানের সাথে জুটি গড়েন।
আরও পড়ুন:
৫৯ রানের জুটি শেষে ২৩ রান করে আউট হন লিটন। তবে একপাশ আগলে রেখে তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে ব্যাট চালাতে থাকেন সাইফ। পেয়ে যান অর্ধশতকও।
৪৫ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন সাইফ। ততক্ষণে উইকেটে সেট তাওহীদ হৃদয়। তিনিও তুলে নেন ফিফটি।
সহজ হয়ে যাওয়া ম্যাচ শেষ দিকে এসে কঠিন করে বাংলাদেশি ব্যাটাররা। হৃদয়ের আউটের পর জাকের দায়িত্ব নিলেও শেষ করতে পারেননি ম্যাচ। শেখ মাহেদী এসে কোনো রান না করেই ফেরেন প্যাভিলিয়নে। স্কোর সমান করা ম্যাচে দুই বল বাকি থাকতে ক্রিজে আসেন নাসুম। এবার আর তিনি ভুল করেননি। নেমেই প্রথম বলে সিঙ্গেল রান নিয়ে নিশ্চিত করেন জয়।
এ জয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে যাওয়ার মিশনে এক পা এগিয়ে রাখলো বাংলাদেশ। কঠিন হলেও টাইগারদের শিরোপা জয়ের লক্ষ্য এখন আর অস্পষ্ট নয়।





