স্থানীয়রা বলছেন, গত ৩০ নভেম্বর থেকে সাজেকের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও প্রসীত খীসার ইউপিডিএফ এর অস্ত্রধারীদের মধ্যে থেমে থেমে বন্দুকযুদ্ধ চলছে।
পাহাড়ি দুর্গম এলাকা হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালাতে পারছে না। ফলে সাজেক ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পর্যটকদের নিরাপত্তা বিবেচনায় ৪ ডিসেম্বর সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল (মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর) রাতে এ নির্দেশনা দেয় জেলা প্রশাসন।
এতে সাজেকের বাঘাইহাট থেকে নতুন করে কোনো পর্যটক সাজেকে প্রবেশ করতে পারেননি আজ। একইসাথে সাজেক থেকে ফিরতে না পারায় সেখানে সাড়ে পাঁচশ' পর্যটক আটকা পড়েছেন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, 'সাজেক ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পর্যটকদের নিরাপত্তা বিবেচনায় আজ সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন। এতে সাজেক থেকে ফিরতে না পারায় সাড়ে পাঁচশ' পর্যটক আটকা পড়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পর্যটকরা গন্তব্যে ফিরতে শুরু করবেন। তবে আজকেও দু'পক্ষের বন্দুকযুদ্ধের কথা শুনেছি।'