রাঙামাটিতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

এখন জনপদে
0

রাঙামাটিতে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ (বুধবার, ২৬ মার্চ) রাঙামাটি জেলা প্রশাসনসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন দিনব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করছে।

শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ, স্মৃতিস্তম্ভ, শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। পরে রাঙামাটি মারী স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, শিক্ষার্থীদের সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৫টা ৫৬ মিনিটে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যে দিয়ে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

পরে পৃথকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) অনুপ কুমার চাকমা, এনডিসি, পিএসসি, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, রাঙামাটি পুলিশ সুপার ড. ফরহাদ হোসেন সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিরা শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-জেএসএস, চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, এলডিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

সকাল নয়টায় রাঙামাটি মারী স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, শিক্ষার্থীদের সমাবেশ, কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সালাম গ্রহণ করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বক্তব্য রাখেন।

বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে বৈষম্যহীন শান্তিপূর্ণ ও ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার শপথ গ্রহণ করি।’ একটি ন্যায় ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।

এসময় পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এএইচ