দেশে এখন
0

দেশের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

দেশের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি এখনও প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে। এতে পানিবন্দি অবস্থায় দিন পার করছেন সাড়ে ৪ লাখের বেশি মানুষ। সুনামগঞ্জসহ অনেক স্থানে পানি নামতে শুরু করলেও দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট।

ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে। তিনটি নদ-নদীর পানি দু'কূল উপচে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এতে প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে কুড়িগ্রামের নতুন নতুন এলাকা।

এরই মধ্যে জেলার ৫২টি ইউনিয়নের ৩ শতাধিক গ্রাম তলিয়ে গেছে। পানিতে ভেসে গেছে ৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর ফসলের খেত। পানিবন্দি দেড় লাখের বেশি মানুষ। অনেকে গবাদি পশুসহ উচু স্থানে আশ্রয় নিয়ে দিন পার করছেন।

এদিকে, দফায় দফায় ভারি বর্ষণ এবং উজানের ঢলে টাঙ্গাইলে যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ওপরে। লোকালয়ে পানি ঢুকে জেলার ৬ উপজেলার প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি।

বন্যার স্রোতে ভূঞাপুর, নাগরপুর ও বাসাইল উপজেলার অন্তত ৬টি কাঁচা-পাকা সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্ধ রয়েছে প্রায় ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ৪ হাজার হেক্টরের বেশি ফসলি জমি ও মাছের ঘের তলিয়েছে। এতে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে কৃষকরা।

জামালপুরের সরিষাবাড়ির জগন্নাথঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুরসহ ৬ উপজেলার ৫০টি ইউনিয়নের দুই লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায়। ১১টি আশ্রয়কেন্দ্র ঠাঁই নিয়েছে কয়েক হাজার পরিবার।

বন্যা দুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার ও অর্থ বরাদ্দ দেয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম দাবি দুর্গতদের।

এদিকে, সিরাজগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও দুর্ভোগ কমেনি বানভাসি মানুষের। পানি নেমে যাওয়ায় ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। পানি নেমে যাওয়ায় ভাঙা ঘর জোড়াতালি দিয়ে বসবাস করছেন।

সপ্তাহ ব্যবধানে দু'দফা বন্যার কবলে পড়লেও সুনামগঞ্জের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা এখনও প্রকাশ করেনি জেলা প্রশাসন।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর