সকালে (মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল) জাতীয় ঈদগাহের সার্বিক প্রস্তুতি দেখতে যান দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এসময় তিনি ঈদ জামাতের প্রস্তুতি ঘুরে দেখেন ও ব্যবস্থাপনার তদারকি করেন। নামাজে বসার স্থান, ওজুখানা, পানির খাওয়ার ব্যবস্থা ও বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন তিনি।
জাতীয় ঈদগাহের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন। আর মূল প্যান্ডেলের বাইরে আরও ১৫ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন।
ঈদগাহে একসঙ্গে ১১৩ পুরুষ ও ২৭ জন নারী আলাদাভাবে অজু করতে পারবেন। গরমের কথা বিবেচনা করে ১০টি এয়ারকুলারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রও থাকছে এবারে ব্যবস্থাপনায়। এসবের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
ঈদ জামাতের প্রস্ততি পর্যবেক্ষণ করতে এসেছেন মেয়র তাপস। ছবি: এখন টিভি
ঈদের জামাতের জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে বলে জানান মেয়র। বৈরি আবহাওয়ায় নামাজ পড়ার উপযোগী ব্যবস্থাপনার কথা জানান তিনি। বলেন, 'জাতীয় ঈদগাহের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। বৈরি আবহাওয়া হলেও ঈদের নামাজ পড়ার সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কোন দুর্ভোগ হবে না। সাড়ে আটটায় প্রথম জামাত। ঈদগাহে দেশলাই সঙ্গে না আনতে অনুরোধ জানাচ্ছি।'
দুপুর বারোটার দিকে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শনে আসেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান। এসময় তিনি নিরাপত্তার দিকটি গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন।
জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শনে ডিএমপি কমিশনার। ছবি: এখন টিভি
ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, 'নিরাপত্তার কোন ঝুঁকি নেই। পুরো শহরে ঈদের জামাতগুলো পুলিশের নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকবে। ঢাকা মহানগরে নির্বিঘ্নে ঈদের জামাতে নামাজ পড়ার জন্য ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ১৮৪টি মাঠ ১৪৮৮ টি মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। সবকটি ঈদের জামাত পুলিশের নিরাপত্তার বাইরে থাকবে না।'
জাতীয় ঈদগাহে এবার ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে আটটায়। ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা রুহুল আমিন। থাকবে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।