প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম এলেই নগরজুড়ে বেড়ে যায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। এবার বর্ষাতে ডেঙ্গুর বংশ বিস্তার রোধে আগেভাগেই মাঠে নেমেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
আজ (শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল) সকালে সাতশ'র বেশি কর্মী দিয়ে ধানমন্ডি এলাকায় মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে করা হয় র্যালি।
র্যালি শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানান স্থানীয় সরকার সচিব ও দক্ষিণের প্রশাসক।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক জানান, বর্ষাকে সামনে রেখে ডেঙ্গু মশার বিস্তার রোধে এ বছর আগেভাগেই ওষুধ ছিটানো ও পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে। নগরবাসী সহযোগিতা করলে ডেঙ্গু রোধ সম্ভব হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, 'বর্ষা শুরুর আগেরই এবার আমরা আমাদের খালগুলো, নর্দমাগুলো, ড্রেনগুলো সমস্ত পরিষ্কার করে ফেলোব। এবং বিশেষ করে মশার যে জন্মস্থান সেটাকে আমরা পরিষ্কার রাখবো। এ কার্যক্রম আমাদের সিটির তরফ থেকে অব্যাহত আছে। আর নাগরিকদেরও দায়িত্ব আছে। তাদের আঙ্গিনায় যেন পানি না জমে, কোনো টবে যেন পানি জমে না যায়, তাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ।'
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ জোনে নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি দশটি বিশেষ অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়ে স্থানীয় সরকার সচিব জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটির কোথাও মশক নিধনে এমন কোনো উদ্যোগ নেয়া হবে না যাতে পরিবেশ ও এলাকার ক্ষতি হয়।
পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকারের সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহেদী বলেন, 'আমরা ৩০ জন নির্বাহী মেজিস্ট্রেট এই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিয়োগ করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি, এর কারণ হচ্ছে একটা পরিচ্ছন্ন নগরী পাহারা দেয়ার জন্য। তারা বিভিন্ন জায়গায় যাবে, যেখানে আমাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিঘ্ন ঘটছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, তাদের সচেতন করার দায়িত্ব নিয়েই আমরা কাজ করছি।'
এডিস মশা নিধনে সিটি কর্পোরেশনের ছিটানো ওষুধের মান ভাল দাবি করে স্থানীয় সরকার সচিব জানান ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসায় এ বছর স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করা হবে।
