ইসরাইলের হামলায় ধ্বংসস্তূপের নগরীতে পরিণত হয়েছে গাজা। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) আইডিএফ এর আলাদা দু'টি হামলায় বেইত লাহিয়ে ও শেখ রাদওয়ান অঞ্চলে নিহত হয়েছেন প্রায় ১০০ জন। আগ্রাসন চলছে লেবানন এমনকি সিরিয়াতেও। দু'টি দেশে বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় অর্ধশত মানুষ।
এতকিছুর পরেও আশার ছোট আলো হিসেবে এসেছিল গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব। তবে জাতিসংঘের সে আলোও নিভে গেলো যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে। নিরাপত্তা পরিষদে ১৫ সদস্যের মধ্যে শুধু ওয়াশিংটনই প্রস্তাবের বিরোধিতা জানায়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর নিজেদের আত্মপক্ষ সমর্থনে জানান, যুদ্ধবিরতির সঙ্গে জিম্মিদের দ্রুত ও শর্তহীন মুক্তির বিষয়টি যোগ না করায় ভেটো দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘এই প্রস্তাবে জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি ছিল। তবে সেখানে দ্রুত ও শর্তহীন যুদ্ধবিরতির সঙ্গে জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি সম্পর্কিত করা হয়নি। আমরা এমন কোনো প্রস্তাবকে সমর্থন দিতে পারি না।’
যুদ্ধবিরতির জন্য নিজেদের বিশেষ দূতকে বৈরুতের পর তেল আবিবে পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। লেবাননে অবস্থানকালে দেশটির সরকারের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অ্যামোস হচস্টেইন। জানান, এই অঞ্চলে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে নাইম কাশেমের দাবি, হিজবুল্লাহ ও লেবানিজ সরকার প্রস্তাবে রাজি হওয়ায় বল এখন ইসরাইলের কোর্টে।
হিজবুল্লাহ প্রধান নাইম কাশেম বলেন, ‘এই আলোচনা দ্রুতই যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ভূমিকা রাখবে, এমন আশা করছি না আমরা। কেউই এটির গ্যারান্টি দিতে পারবে না। আমরা সবাই রাজি। এখন সবকিছুই নির্ভর করছে ইসরাইল এবং নেতানিয়াহু কতটুকু গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখছে, তার ওপর।’
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত অ্যামোস হচস্টেইন বলেন, ‘আজই আমি লেবাননের স্পিকারের সঙ্গে বৈঠক করেছি। গতকাল ও আজকের বৈঠকে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। কিছুক্ষণ বাদে ইসরাইলে যাচ্ছি। দেখা যাক যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরে কতটুকু এগোতে পারি।’
এদিকে ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধে মার্কিন সিনেটে তিনটি বিল উত্থাপন করা হলেও আইনপ্রণেতাদের ভোটাভুটিতে তা বাতিল হয়ে যায়।