গাজায় বর্বরতার সব সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। মঙ্গলবার একদিনেই উপত্যকায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়ে প্রায় ১৫০ সাধারণ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে আইডিএফ।
জাতিসংঘ বলছে, এক সপ্তাহ আগেই জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলায় দেড় থেকে দুই শতাধিক সাধারণ ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। এরমধ্যে বেশিরভাগ মানুষের প্রাণ গেছে উত্তর গাজায় বিমান হামলায়। যদিও আইডিএফ'র দাবি, এই এলাকায় এত মানুষ কীভাবে এলো, জানা নেই তাদের।
হিজবুল্লাহ'র নতুন নেতা হিসেবে নাঈম কাশেমকে দায়িত্ব দেয়ার পর লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলেও হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে আইডিএফ। সীমান্তে চলছে হিজবুল্লাহ-আইডিএফ'এর রকেট ছোড়াছুড়ি। লেবাননে একদিনেই প্রাণ গেছে ৭৭ জনের।
গাজায় মানবেতর এই বিমান হামলাকে ভয়াবহ উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্যেই দখল করা এলাকাগুলোতে জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার কার্যক্রম নিষিদ্ধের ইসরাইলি সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করছে বিশ্ব। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউএনআরডব্লিউ নিয়ে ইসরাইলের সিদ্ধান্তের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তেল আবিবকে ভোগ করতে হবে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি সভায় যুক্তরাষ্ট্র আরও জানায়, গাজার সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না ইসরাইল।
জাতিসংঘ বলছে, তিন মাসের মধ্যে বেইত লাহিয়াতে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা চালানো হয়েছে। সংস্থাটির শিশু বিষয়ক শাখা ইউনিসেফ বলছে, শিশুদের নির্বিচারে হত্যা করতেই ইসরাইলের দখলে থাকা অঞ্চলগুলোতে ইউএনআরডব্লিএ'র কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে তেল আবিব। এই সংস্থা কার্যক্রম চালাতে না পারলে গাজার মানবিক সহায়তা পুরোপুরি ভেঙে পড়বে বলেও আশঙ্কা সংস্থাটির।
এদিকে ইসরাইলি হামলার পর এখনও উত্তপ্ত তেহরান-তেল আবিব সম্পর্ক। পশ্চিমাসহ পুরো মুসলিম বিশ্ব মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই শক্তির মধ্যে সংঘাত ঠেকানোর চেষ্টা করলেও ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, ইরান যদি কোনোভাবে হামলা করে, সক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করে এবার পাল্টা হামলা করা হবে।
গাজায় ইসরাইলের সেনা অভিযান দিয়ে শুরু হলেও এখন মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরাইল–হামাস সংঘাত। এতে শুরু থেকেই যুক্ত হয়ে গেছে হিজবুল্লাহ, হুথি আর ইসলামিক রেজিন্ট্যান্স ইন ইরাক। ইসরাইল বলছে, আরব বিশ্বের সঙ্গে অবশ্যই শান্তি চুক্তি হবে, কিন্তু তার আগে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র সব গোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করবে তেল আবিব।