২০২৫ আসতে বাকি আর মাত্র একদিন। এ অবস্থায় খ্রিষ্টীয় নতুন বছরকে বরণ করে নিতে জাকজমকপূর্ণ প্রস্তুতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে।
ঐতিহাসিক টইমস স্কয়ারে ঐতিহ্যবাহী বল ড্রপের মধ্য দিয়ে বর্ষবরণে রোববার হয়েছে অনুশীলন। এ সময় টাইমস স্কয়ারে রঙ বেরঙের টুকরো কাগজ নিয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে অসংখ্য শিশু-কিশোর। নতুন বছরের নিয়ে নিজেদের প্রত্যাশার কথাও এসব টুকরো কাগজে লিখেছেন অনেকে।
পুরনো বছর থেকে নতুন বছরে যাত্রার এই বিশেষ ক্ষণে এসে উৎসবে মেতেছেন ব্রাজিলীয়রাও। সুখী-সমৃদ্ধ নতুন বছর কামনায় রিও ডি জেনিরোর কোপাকাবানা সমুদ্র সৈকতে সাদা পোষাকে ভিড় জমানো হাজার হাজার মানুষ। নাচ-গানে মাতেন আনন্দ- উচ্ছ্বাসে।
রীতি অনুযায়ী প্রতিবছরের মতো এবারও আফ্রো-ব্রাজিলিয়ান দেবী ইয়েমাঞ্জার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেখা গেছে দেশটির উমবান্ডা ধর্মের অনুসারীদের। দেবীর জন্য উপহার হিসেবে ভক্তরা নিয়ে আসেন ফুল, চিঠি, খাবার এবং রূপচর্চার সামগ্রীও। নতুন বছরে সহিংসতা এবং যুদ্ধের অবসানের মধ্য দিয় মানবতা, শান্তি ও ভালোবাসায় ভরে উঠবে পৃথিবী, এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।
দেবীর একজন ভক্ত বলেন, ‘আমরা চাই, মানুষ ভালবাসা ও শক্তি দিয়ে পরিচালিত হোক। রিওবাসীও বন্ধুত্ব, ভ্রাতৃত্ব, শান্তি এবং নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে চায়।’
অন্য একজন ভক্ত বলেন, ‘এ আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই আনন্দ আয়োজনের মধ্যমে আমরা ২০২৫ এর পথে যাত্রা করতে যাচ্ছি।’
এদিকে ক্রিসমাসে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জার মাধ্যমে ২০২৫ সালকে বরণ করে নেয়ার সীমিত আয়োজন যুদ্ধ কবলিত ইউক্রেনে। নতুন বছরেই চলমান সংঘাতের অবসান চান ইউক্রেনের রুশ-নিয়ন্ত্রিত অংশের বাসিন্দারা।
স্থানীয় একজন বলেন, ‘২০২৫ সালে আমরা শুধু সুসংবাদের জন্য অপেক্ষা করছি। যুদ্ধ বা খারাপ কোনো কিছুই আর দেখতে চাই না। পৃথিবীজুড়ে শান্তি কামনা করি।’
অন্য একজন স্থানীয় বলেন, ‘আমরা আশায় আছি যুদ্ধ বন্ধ হবে এবং এজন্য শান্তি আলোচনার অপেক্ষায় আছি। আমি মনে করি শান্তি আলোচনা যত দ্রুত শুরু হবে, তত তাড়াতাড়ি যুদ্ধের অবসান হবে। নতুন বছর শুরুর আগে এটাই আমাদের কামনা।’
এদিকে টু-থাউজেন্ড-টুয়েন্টি-ফাইভ স্প্রিং ফেস্টিভ্যাল বা বসন্ত উৎসবের কাউন্টডাউন শুরু করেছে চায়না মিডিয়া গ্রুপ- সিএমজি। চান্দ্রবর্ষ উদযাপন নিয়ে একটি কার্টুন প্রোমোও উন্মোচন করা হয়েছে।
স্প্রিং ফেস্টিভ্যাল গালা হলো চীনা ঐতিহ্য; যেখানে নাচ- গান, লোকশিল্প আয়োজনে পরিবার-বন্ধু বান্ধদের মিলনমেলায় রূপ নেয়। ১৯৮৩ সালে সালে আত্মপ্রকাশের পর থেকে, এটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস দ্বারা বিশ্বের সর্বাধিক প্রচারিত টিভি প্রোগ্রাম হিসেবে স্বীকৃত।