ইউরোপ
বিদেশে এখন
0

টাইফুন ও বন্যায় লণ্ডভণ্ড ফিলিপিন্স-স্পেন-কলম্বিয়া

১৩০ কিলোমিটার গতিবেগে আঘাত হানা টাইফুন তোরাজির আঘাতে লণ্ডভণ্ড ফিলিপিন্স। ভারি বৃষ্টির কারণে জারি করা হয়েছে বন্যা ও ভূমিধস সতর্কতা। সরিয়ে নেয়া হয়েছে ৩২ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে। ভয়াবহ বন্যার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় স্পেনের ভ্যালিন্সিয়া অঞ্চল। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে ৪০০ কোটি ডলারের তহবিল। এদিকে বন্যার ভয়াবহতা বাড়তে থাকায় কলম্বিয়াজুড়ে জারি করা হয়েছে দুর্যোগ সতর্কতা।

তিন সপ্তাহের ব্যবধানে চতুর্থ টাইফুন তোরাজির আঘাতে লণ্ডভণ্ড ফিলিপিন্স। সোমবার (১১ নভেম্বর) দ্বীপরাষ্ট্রটির উত্তরাঞ্চলে ১৩০ কিলোমিটার গতিবেগে আঘাত হানে শক্তিশালী টাইফুনটি। বর্তমানে অরোরা প্রদেশ অতিক্রম করে তোরাজির গন্তব্য লুজন প্রদেশের দিকে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ফিলিপিন্সের উপকূলীয় অঞ্চলের আড়াই হাজার গ্রামের ৩২ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে। ভারি বৃষ্টির কারণে জারি করা হয়েছে বন্যা ও ভূমিধস সতর্কতা। বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিমানবন্দর। এদিকে আবহাওয়া দপ্তরের শঙ্কা, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দেশটির উপকূলে আঘাত হানতে পারে পঞ্চম টাইফুন উসাগি।

এদিকে ভয়াবহ বন্যার পর এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চল। ধানক্ষেতে মরদেহের সন্ধান চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠনে ৪০০ কোটি ডলারের তহবিল ঘোষণা করেছেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, 'মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১১০টি পদক্ষেপসহ রয়্যাল ডিক্রি জারির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪০০ কোটি ডলার তহবিল। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠনের দিকে আমরা নজর দিচ্ছি।'

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আঞ্চলিক সরকারের ব্যর্থতার জবাবদিহিতা চাইতে ভ্যালেন্সিয়ার বিভিন্ন সড়কে চলছে আন্দোলন। রাগ ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে হাতে মাটি লাগিয়ে ভ্যালেন্সিয়া সরকারের দপ্তরের দেয়ালে ছাপ বসিয়ে দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় নিরাপত্তা বাহিনী। ৩০টির বেশি গ্রুপের ডাকে আন্দোলনে অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ।

এছাড়া ভয়াবহ বন্যার কারণে কলম্বিয়াজুড়ে জারি করা হয়েছে দুর্যোগ সতর্কতা। ভারি বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে চকো, লা গুয়াজিরাসহ কয়েকটি অঞ্চল। প্রাণহানির তথ্য না মিললেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৬ হাজার। এমন পরিস্থিতিতে আজারবাইজানে চলমান বার্ষিক জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন বাতিল করেছেন প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো।

এসএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর