এশিয়া
বিদেশে এখন
0

চীনের সঙ্গে সমতা-সুশৃঙ্খল পারস্পরিক সহযোগিতায় আগ্রহী তাইওয়ান

চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের পুনরেকত্রীকরণ কেউ ঠেকাতে পারবে না। নতুন বছরে এমন কড়া বার্তা দিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি জানান, তাইওয়ান প্রণালীর দু'পাশের মানুষ একই পরিবারের অংশ। এ রক্তের বন্ধন ছিন্ন করতে পারবে না কেউ। এদিকে চীনের সঙ্গে সমতা, মর্যাদা ও সুশৃঙ্খল পারস্পরিক সহযোগিতায় আগ্রহী তাইওয়ান। তাইওয়ান-যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ভালো চোখে দেখছে না চীন।

নান্দনিক আলোকসজ্জা ও আতশবাজিতে খ্রিষ্টীয় নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে তাইওয়ান। দেড় হাজার ফুট উচ্চতার তাইওয়ানের সর্বোচ্চ ভবনে চলে আতশবাজি। টিম তাইওয়ান চ্যাম্পিয়ন থিম নিয়ে ২০২৫ সালকে বরণ করে নেয় বাসিন্দারা। যার লক্ষ্য যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দৃঢ় সংকল্প ও শক্তি প্রদর্শন।

তাইওয়ানের ওপর চীনের নজর দীর্ঘ দিনের। সম্প্রতি প্রায় প্রতিদিনই তাইওয়ান প্রণালীর চারপাশে জল ও আকাশপথে সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। গেল বছর তাইওয়ানের নির্বাচনের পর তা আরও বৃদ্ধি পায়। সমগ্র তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ দাবি করে আসছে বেইজিং।

এবার নতুন বছরের প্রথম দিনই চীনের কাছ থেকে কড়া হুঁশিয়ারি পেলো তাইওয়ান। স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে কারও বাধাই মানবে না চীন। এমন কড়া বার্তা দিয়েই বছর শুরু করলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। খ্রিষ্টীয় বর্ষবরণ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে তিনি জানান, চীন ও তাইওয়ানের মানুষ একই পরিবারের অংশ।

শি জিনপিং বলেন, 'তাইওয়ান প্রণালীর দুই পাশের চীনারা একই পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। কেউ কখনও আমাদের এই রক্তের বন্ধন ছিন্ন করতে পারবে না। চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের পুনরেকত্রীকরণ কেউ ঠেকাতে পারবে না। সময় সব বলে দেবে।'

এদিকে নতুন বছর উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে তাইওয়ান প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে জানান, চীনের সঙ্গে সমতা, মর্যাদা ও সুশৃঙ্খল পারস্পরিক সহযোগিতায় আগ্রহী তাইওয়ান। তিনি আরও জনান, তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ কেবল সেখানকার জনগণেরই নির্ধারণের অধিকার রয়েছে।

লাই চিং-তে বলেন, 'গণতন্ত্রের মাধ্যমে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতে চায় তাইওয়ান। তাইওয়ান যত নিরাপদ হবে, বিশ্ব তত নিরাপদ থাকবে। তাইওয়ান যত শক্তিশালী হবে, বিশ্বের গণতান্ত্রিক ধারা তত মজবুত হবে। সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত। তাইওয়ান প্রণালি ও ইন্দো-প্যাসিফিকের নিরাপত্তা রক্ষা করতে হবে।'

চীন কমিউনিস্ট রাষ্ট্র হলেও তাইওয়ানে গণতান্ত্রিক প্রশাসন চালু আছে। আর তাইওয়ান ইস্যুতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধ বেশ পুরানো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেব ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের কয়েক সপ্তাহ আগে জিনপিংয়ের এমন কড়া বার্তায় আবারও সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গেল ডিসেম্বরে তাইওয়ানে সরঞ্জাম বিক্রি ও সহায়তা বাবদ ৫৭ কোটি মার্কিন ডলার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এসএস