গাজার ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করায় এবার নিজ দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্ব জড়িয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় গেল কয়েক দিন ধরেই হার্ভার্ডের ওপর চড়াও হোয়াইট হাউস।
এবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি নিতে দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতর জানায়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভকারীদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তা দিতে অসম্মতি জানালে হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিতে দেয়া হবে না।
এদিকে, ইহুদিবাদ বিরোধিতার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে খ্রিষ্টান বিরোধী মনোভাব দূর করতেও বর্তমান প্রশাসন কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেন, 'মার্কিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে খ্রিষ্টান বিরোধী মনোভাব দূর করতে কাজ করছে প্রশাসন। তাই বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফেডারেল সরকারের আওতায় রাখা হবে।'
আরো পড়ুন:
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছে হার্ভার্ডের শিক্ষার্থীরা। যেকোনো পরিস্থিতিতে হার্ভার্ডের প্রতি তাদের সমর্থন আছে বলেও জানান তারা।
হার্ভার্ডের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন বলেন, 'ট্রাম্পের প্রস্তাবে রাজি না হওয়া হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় মহৎ সিদ্ধান্ত। হার্ভার্ডে পড়ুয়া আমার অনেক বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতরাও একই মন্তব্য করেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হোয়াইট হাউজের সঙ্গে সমঝোতার কথা বলছেন, যা হতাশাজনক।'
অন্য একজন বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে সেই প্রত্যাশা করছি।'
হার্ভার্ডে প্রায় ছয় হাজার ৮শ' আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। ২০২৪-২৫ সালে মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ২৭ শতাংশ বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে এখানে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অধীনে হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থবিভাগ পরিচালনা করতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন। তবে ট্রাম্পের এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।আর এতেই মূলত হার্ভাডের ওপর চটেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
শুরুতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩০ কোটি ডলার অর্থ আটকে দেয় হোয়াইট হাউস। এর পরই একের পর এক বার্তা আসতে থাকে হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে। বুধবার ২শ'৭০ কোটি ডলার তহবিল বন্ধের ঘোষণা আসে। এছাড়া, হার্ভার্ডের করছাড় সুবিধা বাতিলেরও হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।





