পার্লামেন্টে প্রথম অভিশংসন প্রস্তাব ভেস্তে যাওয়ার ১০ দিন পর আজ (শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় প্রস্তাবে সমর্থন মেলে সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতার। দেশটির স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার দিকে পার্লামেন্টে ভোটে অংশ নেন ৩শ' আইনপ্রণেতা। প্রেসিডেন্টকে অপসারণে ন্যূনতম ২শ' ভোটের দরকার ছিল, প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ২০৪টি।
প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাচ্যুতির খবরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন পার্লামেন্টের বাইরে অপেক্ষমাণ লাখো জনতা। এর আগে ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে সামরিক আইন জারির ‘হঠকারী’ সিদ্ধান্ত নেন সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল।
দেশজুড়ে তীব্র বিরোধিতার মুখে মাত্র ছয় ঘণ্টা পর সে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারও করেন তিনি। এরপর প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় পার্লামেন্টে অভিশংসন প্রস্তাব উত্থাপন করে প্রধান বিরোধী দল, ডেমোক্র্যাটিক পার্টিসহ অন্যান্যরা।
কিন্তু দলীয়ভাবে এই ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয় প্রেসিডেন্ট ইওলের পিপল পাওয়ার পার্টি বা পিপিপি। ফলে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার অভিশংসন প্রস্তাবও বাতিল হয়ে যায়।
দ্বিতীয় দফার অভিশংসন ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ১৯২ জন বিরোধীদলীয় পার্লামেন্ট মেম্বারের ভোটসহ আরো ৮টি ভোট প্রয়োজন ছিল ডেমোক্র্যাটদের। সেখানে ২০৪টি ভোট পড়েছে অভিশংসনের পক্ষে।
তবে, পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাশ হলেও দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালতের রায় ছাড়া ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না ইয়ুন সুক ইওলকে। ৯ জন কাউন্সিল সদস্যের ৬ জন এই অভিশংসনের পক্ষে রায় না দিলে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন তিনি।
এতে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে জানাচ্ছে কোরীয় গণমাধ্যম। আর যদি ইয়ুন সুক ইওল অভিশংসিত হন তাহলে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
আপাতত ইয়ুন সুক ইওলকে বরখাস্ত করে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেয়া হবে দেশের প্রধানমন্ত্রী হ্যান ডাক-সুকে।