এশিয়া
বিদেশে এখন
0

দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি উত্তর কোরিয়ার

দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংঘাত ও যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তাদের শায়েস্তা করতে প্রায় ১৪ লাখ তরুণকে সেনাবাহিনীতে ভিড়িয়েছে দেশটি। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার আকাশে ড্রোন উড়ানো ও আন্তঃকোরিয়া সড়ক ও রেলপথ ধ্বংসের পর এই অঞ্চলে অস্থিরতা চরমে পৌঁছায়। কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ফেরাতে দক্ষিণ কোরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে চীনও।

গেল কয়েক মাস ধরেই পিয়ংইয়ংইয়ের আকাশে ড্রোন উড়ানো নিয়ে প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এসব ড্রোন দিয়ে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে সিউলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনাকে উস্কানিমূলক ঘটনা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে পিয়ংইয়ং।

এবার দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংঘাত এমনকি যুদ্ধের হুমকি দিলেন কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং। আবার যদি উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমায় তাদের ড্রোন আসে তাহলে এর ফল হবে ভয়ংকর। আত্মরক্ষার জন্য যেকোনো পদক্ষেপ নিতে পিছু পা হবে না।

ইতোমধ্যে সীমান্ত সেনাদের গুলি করার নির্দেশ দিয়ে রেখেছে পিয়ংইয়ং।

গেল মঙ্গলবার, আন্তঃকোরিয়া সড়ক ও রেলপথের একাংশ বিস্ফোরণের মাধ্যমে গুড়িয়ে দেয় উত্তর কোরিয়া। জবাবে সীমান্ত রেখা থেকে সতর্কীকরণ গুলি ছোঁড়ে সিউল। এদিকে, সীমান্তের নিজ অংশে মাইন ও বেষ্টনি দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। ঠিক তার পরদিনই ১৪ লাখ তরুণকে সেনাবাহিনীতে ভিড়িয়েছে দেশটি। যা প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তাকে আরও হুমকির মুখে ফেলেছে।

কোরীয় অঞ্চলে চলমান উত্তেজনায় দক্ষিণ কোরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগে একটি নতুন বহুজাতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে তারা।

দক্ষিণ কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম হং-কিউন বলেন, 'উত্তর কোরিয়ার ক্রমাগত পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি, আন্তঃকোরীয় সড়ক ও রেলপথ উড়িয়ে দেয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সীমান্তের অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য ড্রোন পাঠানো হয়েছিল। অন্য কোনো উদ্দেশে নয়।'

জাপানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাসাতাকা ওকানো বলেন, 'রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সামরিক সহযোগিতা কোরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। এছাড়া, উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত আছে জাপান। দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তায় সবসময় তাদের পাশে আছে জাপান।'

এদিকে কোরীয় উপদ্বীপে চলমান উত্তেজনার বিষয়ে নজর রাখছে চীনও।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, 'কোরীয় উপদ্বীপের প্রতিবেশী হিসেবে, চীন এসব ঘটনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। উভয়পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করে সংঘাত এড়িয়ে চলার ব্যবস্থা করতে হবে। কোরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ চীন।'

কোরীয় যুদ্ধ ১৯৫৩ সালে একটি যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ হলেও, কার্যত এখনও যুদ্ধের মধ্যেই আছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া।