অন্যদিকে, হিজবুল্লাহ প্রধানও হুমকি দিয়ে বলেছেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে নেয়া হবে কঠোর পদক্ষেপ। অস্থিতিশীল এই পরিস্থিতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত রোধে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরাইলে ইরান বারবার হামলার হুমকি দিয়ে আসলেও এখনও ইরানের পদক্ষেপ অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। এরমধ্যে ইসরাইলে অনবরত রকেট আর ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। দুটি সামরিক ঘাঁটি আর একটি সামরিক যান লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় আহত হন কয়েকজন ইসরাইলি।
লেবানন রকেট আর ড্রোন ছুড়লে মঙ্গলবার ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে আগুন ধরে যায়। সীমান্তেও চলছে দুই পক্ষের সংঘাত।
হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসারাল্লাহ বলেন, ‘ইসরাইলকে কঠিন জবাব দেয়া হবে। শত্রুপক্ষকে প্রতিহত করার শুরু এটা। আমরা শুনছি লেবানন থেকে হামলা হচ্ছে। কিন্তু লেবাননে হামলা হলে উচিত জবাব দেয়া হবে। এই অঞ্চলটি এখন চরম ঝুঁকিতে। ইসরাইলকে জিততে দেয়া যাবে না। ফিলিস্তিন থেকে বিতাড়িত করতে হবে। এটা একমাত্র লক্ষ্য আমাদের। নিজেদের নিরাপত্তা দেখবো আগে। যুদ্ধক্ষেত্রে দেখা হবে।’
এরমধ্যেই হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পর সশস্ত্র গোষ্ঠীর দায়িত্ব পাচ্ছেন হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। গেলো ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলার পর যে সংঘাত শুরু হয়েছে, তার নেতৃত্ব দিতে সিনওয়ারকে স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। ইসরাইলে হামলার নেপথ্যের অন্যতম পরিকল্পনাকারী কমান্ডার সিনওয়ার।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, আশা করা হচ্ছে সিনওয়ার গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে যেকোন সংঘাত এড়াতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে বলেও জানান তিনি। ইরান বা হিজবুল্লাহ ইসরাইলে হামলা চালাবে না বলেও বিশ্বাস করে হোয়াইট হাউজ।
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ শুরু করেছি। কয়েক দিনের মধ্যে এই অঞ্চলে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছি। ইরানকে ইসরাইলকে সরাসরি বার্তা দেয়া হয়েছে। তবে ইসরাইলে যেকোন সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করতে সহযোগিতা করবো আমরা। যুদ্ধবিরতি কার্যকরের চেষ্টা করছি। বন্দিদের ইসরাইল যেন মুক্তি দেয় সেই চেষ্টাও করছি। যদিও সব দেশ একমত হওয়ার বিষয়টি সময়সাপেক্ষ।’
এরমধ্যেই গাজায় আগ্রাসন বাড়াচ্ছে ইসরাইল। গাজা উপত্যকা আর খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে আইডিএফ। দেইর এল বালাহ'তে পরিণত হচ্ছে ধ্বংসস্তূপে। রাফায় শহরে ইসরাইলের ট্যাংক লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে হামাস। এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪০ হাজারে।
উত্তেজনাকর এই পরিস্থিতির মধ্যেও ব্যস্ত লেবাননের একমাত্র বৈরুত বিমানবন্দর। যুদ্ধ আতঙ্কে অন্তত ১৫ টি দেশ লেবানন ছাড়তে বলেছেন তাদের নাগরিকদের।