ক্যারিবীয় অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান মার্কিন সেনা মোতায়েন এবং সামরিক অভিযানের হুমকিতে চরমে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র-ভেনেজুয়েলা উত্তেজনা। চলমান পরিস্থিতির মধ্যে ভিন্ন সুর শোনা গেল ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর গলায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আন্তরিক ফোনালাপ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদুরো। ১০ দিন আগের ওই ফোনালাপে ট্রাম্পের কূটনীতির প্রশংসা করেন তিনি। টেলিভিশন অনুষ্ঠানে দেয়া এক ভাষণে এ কথা জানান মাদুরো নিজেই।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেন, প্রায় ১০ দিন আগে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে আমার একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ ফোনালাপ হয়। একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ৬ বছরের অভিজ্ঞতায় আমি তার কূটনৈতিক বিচক্ষণতা বুঝতে পেরেছি। আমি বিচক্ষণতাকে মূল্য দিই। দুই দেশের মধ্যে যেকোনো সম্মানজনক সংলাপের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। আমরা সর্বদা শান্তি চাইব, যুদ্ধ নয়।
আরও পড়ুন:
রয়টার্সে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সকল মামলায় আইনি ক্ষমা পেলে ভেনেজুয়েলা ছেড়ে যেতে প্রস্তুত মাদুরো। তবে, ওয়াশিংটন বা কারাকাস কেউই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করে নি।
এদিকে দুই নেতার মধ্যে ফোনালাপের পরও ক্যারিবীয় অঞ্চলে ওয়াশিটনের ক্রমবর্ধমান চাপ বাড়ছে। পুয়ের্তো রিকোতে অসপ্রে বিমান, নৌ-জাহাজ এবং অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন অব্যাহত রেখেছে পেন্টাগন।
আর প্রত্যাবাসন কর্মসূচির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন প্রত্যাশীদের দেশে ফিরিয়ে আনছে মাদুরো সরকার। ২শ' ৬৬ অভিবাসী বহনকারী একটি মার্কিন বিমান কারাকাসে অবতরণের অনুমতি পেয়েছে। এরইমধ্যে দেশটির সাইমন বলিভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে অভিবাসীবাহী একটি বিমান।
ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভান গিল বলেন, মেক্সিকোতে থাকা ৩শ'৪ স্বদেশী স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের অনুরোধ জানিয়েছিল। প্রেসিডেন্ট মাদুরোর মোরোস পরিকল্পনার আওতায় আমরা তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।
গেল সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণায় প্রত্যাবাসন ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করে ভেনেজুয়েলা। তবে গেল মঙ্গলবার পুনরায় ফ্লাইট চালু করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ পেয়েছে বলে জানায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।





