চীন-রাশিয়া ছাপিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের রোষানলের শীর্ষে ভেনেজুয়েলা। মাদক চোরাচালান নাকি ভেনেজুয়েলার বিশাল তেলের মজুদ ও সরকার উৎখাত ঠিক কোন উদ্দেশ্যে কারাকাসে হামলার সম্ভাব্য প্রস্ততি নিচ্ছে ওয়াশিংটন। এটি নিয়ে রয়েছে বিস্তর জল্পনা-কল্পনা। ইতোমধ্যে বেশ কয়েক দফায় পুয়ের্তো রিকোর মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে আধুনিক অস্ত্র-সশস্ত্র মজুদ করেছে পেন্টাগন।
চলমান উত্তেজনার মাঝেই ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর পর নতুন করে পানামার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে দুর্গম জঙ্গলে টিকে থাকার কৌশল শিখতে কাজ করছে দুই দেশ।
মার্কিন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা নেলসন মার্চান বলেন, ‘আমাদের জঙ্গলে টিকে থাকার অভিজ্ঞতা আছে। তবে পানামার জঙ্গল কিছুটা আলাদা। তাই আমরা পানামার জঙ্গল অভিজ্ঞতা শিখতে এই মহড়ায় অংশ নিয়েছি। এর সঙ্গে ভেনেজুয়েলা ইস্যুর কোনো সম্পর্ক নেই।’
এছাড়া, সংঘবদ্ধ অপরাধ রুখতে মহড়াটি ভবিষ্যতে কাজে লাগবে বলে মত পানামার নৌ-বাহিনীর।
আরও পড়ুন:
এদিকে, মঙ্গলবার মার্কিন মন্ত্রীসভার বৈঠকে ভেনেজুয়েলার নৌযানে দ্বিতীয় দফা হামলার অনুমোদন নিয়ে কথা বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। এসময়, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প জানান, দ্বিতীয় দফার হামলার বিষয়ে জানতেন না তিনি। তবে এটিকে হামলা নয়, আক্রমণ বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রশংসা করেন এর নির্দেশ দেয়া কমান্ডারকেও।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘একেকটি নৌকা ধ্বংসের মাধ্যমে আমরা ২৫,০০০ মানুষের জীবন বাঁচাচ্ছি। কেননা এগুলোতে করে ফেন্টানিল, কোকেনসহ প্রচুর পরিমাণ মাদক পরিবহন করা হয়। যদি প্রয়োজন হয়, আমরা স্থলপথে গিয়েও হামলা করবো।’
এদিকে, একই বিষয়ে কথা বলেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। জানান, দ্বিতীয় দফা হামলার অনুমোদন দিয়েছে অ্যাডমিরাল ব্রাডলি নিজেই। প্রতিরক্ষা বিভাগের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলেও জানান হেগসেথ।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, ‘আমি প্রথম হামলাটি নিজ চোখে দেখেছি। এরপর আমি পরবর্তী বৈঠকে চলে যাই। সেখান থেকেই জানতে পারি ব্রাডলি দ্বিতীয় হামলার অনুমোদন দিয়েছে। এটিকে সমর্থন জানাই।’
তবে এর একদিন আগে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটের বক্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এটি কৌশলে এড়িয়ে যান হেগসেথ।
অন্যদিকে, ভেনেজুয়েলায় সম্ভাব্য মার্কিন হামলা রুখতে এবার সরব কয়েকজন ডেমোক্রেট আইনপ্রণেতা। তারা জানান, কারাকাসে যেকোনো হামলা চালানোর আগে সিনেটের অনুমোদন নিতে হবে ট্রাম্প প্রশাসনের।





