উত্তরে কানাডা, মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, তার পরেই মেক্সিকো। ভৌগোলিকভাবে দেশ তিনটি পাশাপাশি হলেও ব্যবসা-বাণিজ্যে আর পাশাপাশি চলা হচ্ছে না তাদের।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ শুল্কের প্রতিবাদে সাড়ে ১৫ হাজার কোটি ডলারের ডলারের মার্কিন পণ্যে পাল্টা ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে কানাডা। মঙ্গলবার প্রথম ধাপে কার্যকর হচ্ছে ৩ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে শুল্ক।
বাকি সাড়ে ১২ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে ধাপে ধাপে শুল্ক কার্যকর হবে আগামী ২১ দিনে। এরই মধ্যে কানাডাজুড়ে শুরু হয়েছে 'মেড ইন কানাডা' পণ্য কেনার হিড়িক। এসেছে মার্কিন পণ্য বয়কটের ডাকও।
কানাডা রাজনৈতিক বিশ্লেষক শওগাত আলী সাগর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ডাকে সারা দিয়ে কানাডিয়ান নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য বয়কট শুরু করেছে। নিজের পণ্য কেনার প্রতি হিড়িক বেধেছে। জাস্টিন ট্রুডো আহ্বান জানিয়েছেন অবসর কাটানোর জন্য যেন কানাডার কোনো শহর বেছে নেই।’
জাতিসংঘের বাণিজ্য বিষয়ক তথ্যমতে- কানাডার বার্ষিক রপ্তানির ৭৮ শতাংশ আর মেক্সিকোর ৮০ শতাংশ পণ্য যায় যুক্তরাষ্ট্রে। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের মোট আমদানির মাত্র ১৪ শতাংশ কানাডা ও ১৫ শতাংশ হয় মেক্সিকো থেকে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিকল্প বাজার খোঁজা সহজ হলেও, কানাডা ও মেক্সিকোর জন্য তা কঠিন হবে। তবে মধ্য আয়ের দেশগুলো এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে বলে মত অর্থনীতিবিদদের। কারণ চীনের ওপরও বাড়তি ১০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে রেখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানির বাজার যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ প্রায় ৭৬০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে, যা বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ১৭ শতাংশের বেশি। দেশটিতে বাংলাদেশ বেশি পাঠায় পোশাক। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বরে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৬৭৬ কোটি ডলার। অন্যদিকে, কানাডার পোশাক খাতেও আগে থেকে আধিপত্য বাংলাদেশের।