এ বিষয়ে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফরেন সাবসিডি রেগুলেশন চীনা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক এবং এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নে চীনের পণ্য রপ্তানির জন্য বাধা তৈরি করছে। তবে চীন নিজেদের শিল্প নীতিগুলো প্রথম থেকেই ন্যায্য বলে দাবি করে এসেছে। এরই সঙ্গে চীন ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) সতর্ক করে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো কর্মকাণ্ডে চীনের কোম্পানির ক্ষতি হলে তারা আইনি ব্যবস্থা নেবে।
মূলত গুরুত্বপূর্ণ দুই বাণিজ্য অংশীদারের মধ্যে চলমান বাণিজ্যিক উত্তেজনার প্রধান কারণ নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত ও ইলেকট্রিক ভেহিকল (ইভি) শিল্পের জন্য চীনের সরকারি ভর্তুকি।
এজন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন চীনের বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপসহ তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় চীনও ইউরোপীয় পণ্য ব্র্যান্ডির ওপর শুল্কারোপ করেছে।
এদিকে ব্রাসেলস জানিয়েছে, তারা চীনের প্রযুক্তির ওপর নির্ভরতা কমাতে চায়। যেহেতু একাধিক পশ্চিমা দেশ এখন চীনকে জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ঝুঁকি হিসাবে দেখছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে চলমান বাণিজ্যিক উত্তেজনায় উভয়পক্ষই নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করছে।—এএফপি