মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্বীকার করেছেন, মেক্সিকো ও কানাডা সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ হ্রাস পেয়েছে। কারণ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দুই দেশই সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। যদিও এতকিছুর পরও প্রতিবেশি দুই রাষ্ট্রের ওপর আমদানি শুল্কারোপ বলবৎ থাকবে বলেও জানান তিনি। বেশিরভাগ পণ্যে তাই ৪ মার্চ থেকে আরোপ হতে যাচ্ছে ২৫ শতাংশ শুল্ক।
এ নিয়ে কানাডার অভিবাসীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়লেও, মোটেও চিন্তিত নন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিরা। তারা মনে করেন, জো বাইডেনের আমলে যেভাবে বিভিন্ন সুযোগ হাতছাড়া করেছে ওয়াশিংটন, এবার সেটি পুনরুদ্ধার করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্র নিউইয়র্কের রিপাবলিকান নেতা আমানুল ইসলাম বলেন, 'সীমান্তে যে ধরনের নিরাপত্তা দেয়া দরকার, সেটা আসলে বাইডেনের সময় ছিল না। মানুষ একেবারে পানির মতো এবং নথিপত্র ছাড়া অনেক লোক ঢুকেছে।'
সংশ্লিষ্টদের মতে, অবৈধভাবে যারা যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকেছেন, আগামী চার বছরে তাদের কোনোভাবেই বৈধ হওয়ার পথ নেই। এতে বিপাকে পড়েছেন বহু প্রবাসী বাংলাদেশি। মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর অভিবাসীদের ঢলে খেসারত দিতে হচ্ছে তাদেরকেও।
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক ও লেখক জগলুল হায়দার বলেন, 'দক্ষিণ সীমান্ত, বিশেষ করে মেক্সিকো দিয়ে এখানে ক্যালিফোর্নিয়া এবং টেক্সাসের মধ্য দিয়ে প্রচুর লোকের অনুপ্রবেশ ঘটে। এবং এদের অধিকাংশই অবৈধ অভিবাসী। ফলে ওখানে এটার একটা প্রভাব পড়েছে।'
শপথ নেয়ার পর গেল একমাসে ২০ হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসী আটক হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ জানিয়েছে, তাদের যথারীতি আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেয়া রয়েছে।