আজ (মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ছিল গাজীপুরের টঙ্গীসহ আশপাশের শিল্প এলাকা। নানা দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। ব্যানার ফেস্টুনসহ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলছে আন্দোলনরতরা।
সকাল থেকে টঙ্গীর বেশকিছু কারখানার সামনে জড়ো হন পোশাক শ্রমিকরা। টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভে অংশ নেন তারা। নির্ধারিত সময়ে বেতন, হাজিরা বোনাস বাড়ানো এবং বার্ষিক অর্জিত ছুটিসহ ১৩ দফা দাবি আদায়ে স্লোগান দেন তারা। তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে কর্মসূচিতে অংশ নেয় আশপাশের আরও কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা। আন্দোলনের কারণে সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
একজন শ্রমিক বলেন, 'আমাদের মূল দাবি হচ্ছে আমাদের বেতন দিচ্ছে না সময়মতো। আর এটা রেগুলার করা হয়।'
সাভার-আশুলিয়াতেও শ্রমিক অসন্তোষ বাড়ছে। আন্দোলনের কারণে অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে তৈরি পোশাকখাত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সোমবার প্রায় ৮০টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। সাধারণ কর্মী ও কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে মাঠে নামেন শিল্প পুলিশসহ সেনাবাহিনীর একাধিক টিম।
এরপর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে মঙ্গলবার সকাল থেকে বেশিরভাগ কারখানা খুলে দেয়া হয়। এসময় দু'একটি কারখানায় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে কাজে যোগ না দেয়ায় নতুন করে দু'টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
একজন শ্রমিক বলেন, 'আমাদের দাবি মেনে নেয়া হোক। কারখানা খুলে দেয়া হোক। আমরা যার যার মতো শান্তিতে কারখানায় ফিরে আসতে চাই।'
সাভার-আশুলিয়া, ধামরাইয়ের প্রায় দুই হাজার কলকারখানার মধ্যে বেশির ভাগ কারখানায় এখন উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ শ্রমিকদের পক্ষে বিভিন্ন দাবি তুলে একটি চক্র পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলছে বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।