আজ (সোমবার, ২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি তবে আগের বুকিং করা দুই ট্রাক আলু আমদানি হয়েছে। প্রতিকেজি আলু ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে বন্দরে। যা একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে আলুর দাম তবে স্বাভাবিক রয়েছে পেঁয়াজের দাম।
সবশেষ রোববার ১৪ ট্রাকে ৩৯৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৭২ ট্রাকে দুই হাজার মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে। এরপর রপ্তানিতে স্লট বুকিং বন্ধ করে দেয় দেশটির রাজ্য সরকার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের একজন রপ্তানিকারক বলেন, 'রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করে পেঁয়াজ ও আলুর দাম বেড়ে যাবার কারণে রাজ্য সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আমরা বৈঠক করবো সরকারের প্রতিনিধির সাথে যাতে অন্য রাজ্য থেকে হলেও বাংলাদেশে আলু ও পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারি। এছাড়াও আমাদের যেসব গাড়ি লোডিং অবস্থায় রয়েছে সেগুলোর স্লট বুকিং না দিলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো।'
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক নুর ইসলাম জানান, ভারত থেকে পণ্য আমদানি করতে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের স্লট বুকিং নিতে হয় যা অনলাইন সিস্টেমে। হঠাৎ করে রোববার অনলাইন সিস্টেম বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানান ভারতের রপ্তানিকারকরা ফলে স্লট বুকিং দিতে পারছে না তারা যার কারণে পেঁয়াজ ও আলু আমদানিতে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আজ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি তবে আগের বুকিং করা আলু এসেছে দুই ট্রাক। স্লট বুকিং খুলে না দিলে আগামীকাল থেকে আলু ও পেঁয়াজ বন্দর দিয়ে আমদানি হবে না।'
উল্লেখ, স্লট বুকিং বন্ধের ফলে শুধু হিলি স্থলবন্দর নয় পশ্চিমবঙ্গে সঙ্গে যুক্ত সকল স্থলবন্দর দিয়ে এই পণ্য দু'টি আমদানি বন্ধ থাকবে।