ছোট এই উপত্যকার কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী হামাস নির্মূলের নামে হামলা করছে না। জোরপূর্বক সাধারণ ফিলিস্তিনিদের কখনও পাঠানো হচ্ছে উত্তর থেকে দক্ষিণে, কখনও আবার দক্ষিণ থেকে উত্তরে। আইডিএফ'এর অভিযানে পুরো উপত্যকা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে যা হয়ে পড়েছে বসবাসের অযোগ্য। কোন দেশের পক্ষ থেকে এই সহিংসতা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় হতাশ ফিলিস্তিনিরা।
গাজায় কাজ করা মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থাগুলো বলছে, কোনো নিয়মনীতি না মেনে আইডিএফ জোর করে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করছে। পুরো গাজা এখন বসবাসের অযোগ্য। ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি সাধারণ ফিলিস্তিনিদেরকে তাদের নিজ ভূখণ্ড থেকে সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থাগুলো।
এমন অবস্থায় গাজা শহরের একটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে আইডিএফ। হামলা হচ্ছে গাজার উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলেও। লেবাননের বৈরুতে বিমানবন্দরের কাছে আইডিএফ এর হামলায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে জরুরি ভিত্তিতে সাধারণ মানুষকে সরে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সিরিয়ার দামেস্কে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর হামলায় প্রাণ গেছে বেশ কয়েকজনের।
আইডিএফের দাবি, সিরিয়া থেকে অস্ত্র সহায়তা পাচ্ছে হিজবুল্লাহ, যা বন্ধে সিরিয়ার ওপর হামলা হয়েছে। এদিকে লেবাননের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ক্রিশ্চিয়ান পার্টির প্রধানও বলছেন, হিজবুল্লাহ'র এখন উচিত অস্ত্র পরিত্যাগ করে যুদ্ধ বন্ধ করা।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের সঙ্গে যখন একের পর এক সংঘাতে জড়াচ্ছে বিভিন্ন দেশ, তখন অস্থিরতা নিরসনে কোনো সমাধানেই আসতে পারছে না জাতিসংঘ। পাশ হচ্ছে একের পর এক প্রস্তাব। উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাশ হয়েছে আরও একটি নতুন প্রস্তাব। যেখানে উপত্যকায় নির্বিঘ্নে ত্রাণ সরবরাহে ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। জাতিসংঘের অভিযোগ, মধ্য গাজায় ত্রাণের গাড়িতে আগুন দিয়ে ত্রাণ চুরির মতো ঘটনাও ঘটেছে।
এদিকে লেবাননে যুদ্ধবিরতি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে উপহার দিতে লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করবে নেতানিয়াহু প্রশাসন। যদিও এই প্রক্রিয়ায় সমর্থন নেই ইসরাইলিদের। তবে টাইমস অব ইসরাইল বলছে পুরোই উল্টো কথা। এই গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ট্রাম্পকে উপহার দেয়ার জন্য লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির কোনো চিন্তাই করছে না নেতানিয়াহু প্রশাসন।