সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রপ্তানি বাজার হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউরোপের দেশগুলোর সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে জিএসপি, ইবিএসহ বিভিন্ন বাণিজ্য সুবিধা দিয়ে আসছে।'
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে ভবিষ্যতেও তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে মর্মে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক। নতুন বাংলাদেশে আরও বেশি ইউরোপীয় বিনিয়োগ আসবে বলেও প্রত্যাশা করেন করেন তিনি। বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প, পুঁজিবাজার, কৃষি ও অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগ করতে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ ইউরোপের বিনিয়োগকারীদের তিনি আহ্বান জানান।
প্রতিনিধি দলের প্রধান এবং ইবিএফসিআইয়ের সভাপতি ড. ওয়ালি তসর উদ্দিন জানান, বাংলাদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগের অধিক সম্ভাবনা রয়েছে। অধিকন্তু নতুন প্রজন্মের প্রবাসী ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে আগ্রহ বেড়েছে।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে প্রয়োজনীয় বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর সভায় উপস্থিত আলোচকরা গুরুত্বারোপ করেন। শুধু এথনিক মার্কেটে (প্রবাসী বাংলাদেশি ভোক্তা) সীমাবদ্ধ না থেকে ইউরোপের মূল বাজারে জায়গা করে নেয়ার জন্য পণ্য বহুমুখীকরণ, প্যাকেজিং, বাজারজাতকরণ ও বিপণন কৌশল উন্নয়নসহ প্রমোশন ও ব্র্যান্ডিংয়ের প্রতি নজর বাড়ানোর পরামর্শও দেন তারা। এর পাশাপাশি, আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে কাস্টমস ও ভিসা জটিলতা সহজীকরণের জন্য ব্যবসায়ী নেতরা আহ্বান জানান।—সংবাদ বিজ্ঞপ্তি