২৬ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের আর্লিংটন জাতীয় কবরস্থান পরিদর্শনের ৫দিন পর এসে মন্তব্য করেছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামালা হ্যারিস।
এর মধ্য দিয়ে ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠলো মার্কিন রাজনীত ২০২১ সালে আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরে বোমা হামলায় নিহত ১৩ মার্কিন সেনা সদস্যদের সম্মানে ওই দিন সেখানে গিয়ে ভিডিও ধারণ করে এমন বিতর্কের মুখোমুখি হলেন ট্রাম্প। কারণ কবরস্থান নিয়ে ফেডারেল আইন সম্পর্কে বীর সেনাদের শ্রদ্ধা জানাতে আসা সবাইকে সচেতন করেছিলোও কর্তৃপক্ষ।
আইন উপেক্ষা করে নির্বাচনি প্রচারণার অংশ হিসেবে ভিডিও ও স্থিরচিত্র ধারণ করেন ট্রাম্প। বাধা দেয়ায় কবরস্থানের এক কর্মীর সঙ্গে ঝগড়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন পেন্টাগনের মুখপাত্র।
পেন্টাগন মুখপাত্র সাবরিনা সিং জানান, সেনাবাহিনীর তথ্য বলছে, আর্লিংটন কবরস্থানের একজন কর্মচারী সবাইকে নিয়ম মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছিলেন। তাকে ধাক্কা দিয়ে একপাশে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। সব কর্মচারীরাই পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করছিলেন, তবুও এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল।
এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে কামালা হ্যারিস বলেন, আর্লিংটন কবরস্থান একটি গৌরবময় স্থান। যারা দেশের সেবায় আত্মত্যাগ করেছেন এমন বীর সেনাদের সম্মান জানাতে সেখানে সবাই যায়। অথচ রাজনৈতিক প্রচারণার জন্য আইন লঙ্ঘন করে পবিত্র ভূমিকে অসম্মান করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রতিদ্বন্দ্বী কামালা হ্যারিসের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার রানিংমেট জেডি ভ্যান্স। এছাড়া কামালার কঠোর সমালোচনাও করেন তারা। ক্ষমতায় এলে কামালার মতো ঘুমিয়ে না থেকে ২০২১ সালে আফগানিস্তানে ১৩ মার্কিন সেনা নিহতের ঘটনার তদন্ত হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন জেডি ভ্যান্স।
যুক্তরাষ্ট্র রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'তাদের মতো খারাপ মানুষদের সাথে আমাদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। কবরস্থানের ছবি নিয়ে তারা বলছে আমি প্রচারণা চালাচ্ছিলাম। আমার এসবের কোনো দরকার নেই। এমনিতেই আমি প্রচুর প্রচার চালাচ্ছি।'
যুক্তরাষ্ট্র রিপাবলিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জেডি ভ্যান্স বলেন, 'কামলা হ্যারিসের সম্মান নেই। আমরা সেই ১৩ জন সাহসীর কথা বলতে যাচ্ছি। যারা নিরীহ আমেরিকান এবং তারা তাদের জীবন হারিয়েছেন। কামলা হ্যারিস এতটাই ঘুমিয়ে পড়েছেন যে, কী ঘটেছে তার তদন্তও করবেন না তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব করতে পারবেন বলে কামালা চিৎকার করে তাকে দমিয়ে রাখতে চান। তিনি নরকে যাবেন।'
আর্লিংটন জাতীয় কবরস্থানে ৪ লাখের বেশি সামরিক সদস্যকে সমাহিত করা হয়েছে। যারা দেশের স্বার্থে সক্রিয় দায়িত্ব পালনে প্রাণ হারিয়েছেন এবং অবসরে যাওয়ার পরও যারা মারা গেছেন তাদের এখানে শায়িত করা হয়েছে।