আসছে ৬ জুন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫৩তম বাজেট অধিবেশন। প্রথমবারের মতো ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকারের আয়-ব্যয়ের হিসেব অর্থাৎ বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ।
গবেষণা সংস্থা 'উন্নয়ন সমন্বয়' এর আয়োজনে গণমাধ্যমের সাথে প্রাক-বাজেট আলোচনায় উঠে আসে আসন্ন বাজেটের নানা দিক।
অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, 'মূল্যস্ফীতি প্রকারান্তে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য বাড়তি করারোপের সামিল।' রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ে ভর্তুকি উঠিয়ে নিলে তা অযৌক্তিক হবে বলে বলেও মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, 'গরিব ও মধ্যবিত্তের জন্য সবচেয়ে বড় ট্যাক্সের নাম হলো মূল্যস্ফীতি। আমি কোনো অবস্থাতেই রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের প্রণোদনা তুলে নেয়ার পক্ষে নই। এবার আমাদের প্রণোদনা বজায় রাখতে হবে কারণ আমার রপ্তানি বাড়াতে হবে। আমার রেমিট্যান্স বাড়াতে হবে।'
সামগ্রিক অর্থনীতির কথা বিবেচনা করলে, এবার প্রবৃদ্ধি কিছুটা কম হলেও অসুবিধা হবে না বলে মনে করেন সাবেক এই গভর্নর। বলেন, রাজস্ব বাড়াতে জনবান্ধব করনীতি ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, 'প্রবৃদ্ধি না হলেও আমার এবার স্থিতিশীলতা দরকার। জন চাহিদার কথা মাথায় রেখে করারোপ করতে হবে। এনবিআরকে দুটো কাজ করতে হবে। স্মার্ট জনশক্তি তাদের বাড়াতে হবে ও ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহার করতে হবে।'
আলোচনায় বক্তরা আরও বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপ সত্ত্বেও সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। সেই সাথে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলায় খরচ বাড়ানোর পরামর্শও বিশেষজ্ঞদের।