মালয়েশিয়া বাংলাদেশের বড় শ্রমবাজার হলেও দুর্নীতির কারণে আবারও তা বন্ধের পথে। আগামী ১ জুন থেকে কোনো বিদেশি শ্রমিক নেবে না বলে সাফ জানিয়েছে দেশটি। এটি কার্যকর হলে ২০১৮ সালের পর বাংলাদেশি শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পথ দ্বিতীয়বারের মতো বন্ধ হচ্ছে।
দুর্নীতির অভিযোগে সেবার বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ করে মালয়েশিয়া। অবশ্য দেশটিতে শ্রমশক্তি রপ্তানিতে অসন্তোষের পেছনে বরাবরই রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেট, দুর্নীতি ও অনিয়মকেই দায়ী করেছেন খাত সংশ্লিষ্ট ও বিশেষজ্ঞরা।
এই সংকট নিরসনে তৎপর হয়ে উঠেছে সরকার। শিগগিরই মালয়েশিয়ার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার টেবিল বসতে যাচ্ছে। আজ (রোববার, ২১ এপ্রিল) দুপুরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে সভায় প্রবাসী কল্যাণ সচিব রুহুল আমিন এসব তথ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি সমাধানে দূতাবাসে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এজেন্ডা ঠিক করে শ্রমবাজার নিয়ে শিগগিরই আলোচনা করা হবে। জনশক্তি রপ্তানির বিষয়ে মে মাসে দু'দেশের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
প্রবাসী কল্যাণ সচিব বলেন, ‘আমরা বলেছি যে বসতে চাই। মালয়েশিয়া সরকার এখনও কিছু বলেনি। তবে এ নিয়ে মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে কাজ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘অবৈধ অভিবাসন ও বিদেশ পাঠানোর নামে চটকদার বিজ্ঞাপন রোধে টাস্কফোর্স গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে বিটিআরসির সহায়তায় এসব বন্ধ করা হবে।’
দক্ষ শ্রমিক গড়ে তোলার পাশাপাশি অবৈধভাবে শ্রমিকদের বিদেশে যেতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বলে সভায় জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে নির্যাতিত প্রবাসী শ্রমিকদের বিষয়ে তথ্য নেয়া হচ্ছে। শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেবে মন্ত্রণালয়। দক্ষ শ্রমিক তৈরিতে ট্রেনিং সেন্টারগুলোকে আধুনিকায়ন করার উদ্যোগ হাতে নেয়া হবে। অবৈধভাবে কোন শ্রমিক যাতে বিদেশ না যায় সে ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।’