বিয়াম মাহসা ইউনিভার্সিটি চ্যাপ্টার কমিটির সেক্রেটারি তৌফিকুর রহমান মাহফুজ ও ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির আহ্বায়ক মুশফিকুর রহমানের ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষায় প্রদত্ত যৌথ বক্তব্যে ইসরাইলি বর্বরতার প্রতিবাদে চারটি দাবি জানানো হয়। সেগুলো হলো-
প্রথমত, বিগত স্বৈরশাসক কর্তৃক গৃহীত বাংলাদেশি পাসপোর্ট থেকে ‘একসেপ্ট ইসরাইল’ বাক্যটি অপসারণ অবৈধ ঘোষণা করে অনতিবিলম্বে শব্দটি পুনঃস্থাপন করতে হবে এবং এটিই হবে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসরাইলের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শনের উপযুক্ত পদক্ষেপ।
দ্বিতীয়ত, মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনকে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে গৃহীত প্রতিবাদগুলোকে গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়ে বাংলাদেশের সরকারকে আনুষ্ঠানিক বার্তা পাঠাতে হবে।
তৃতীয়ত, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ন্যায় বাংলাদেশেও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে গৃহীত প্রতিবাদ সভা নির্বিঘ্নে পালনের ব্যবস্থা প্রশাসনকে করতে হবে। এবং সেসব প্রতিবাদ যেন মিডিয়ায় যথাযথ গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। কর্তৃপক্ষের কোনো বাধাবিপত্তি এই কর্মসূচিতে কাম্য নয়।
চতুর্থত, ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আন্তর্জাতিকভাবে ইসরাইলের বিপক্ষে বিডিএস (বয়কট, ডাইভেস্টম্যান্ট তথা বিচ্ছিন্ন করণ ও স্যাংশান) কর্মসূচিকে দেশ ও বিদেশে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের মাঝেও ছড়িয়ে দিতে গণমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রাশেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ওমর ফারুক সৈকত, সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তাহমিদ তাজওয়ার প্রমুখ।