১৭ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ইরাক ও সিরিয়ায় কমপক্ষে ৯৭ বার হামলার লক্ষ্য হয় মার্কিন সেনারা। তবে ইসরাইলি ভূখণ্ডে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর রোববার (২৮ জানুয়ারি) প্রথম কোন হামলায় প্রাণ গেল মার্কিন সেনাদের।
জর্ডান জানিয়েছে, সিরীয় ভূখণ্ডে হামলা হয়েছে। হামলার পর ৩৪ কর্মকর্তার মস্তিষ্কে আঘাতের শঙ্কা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আহত বেশ কয়েকজন সেনাকে চিকিৎসার জন্য ঘাঁটি থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘একটা কঠিন দিন পার করছি আমরা। গত রাতে আমাদের ঘাঁটিতে তিন সাহসী যোদ্ধাকে হারিয়েছি। নীরবতা পালন করছি এক মুহূর্ত। পাল্টা জবাবও আমরা দেবো।’
হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র যুক্তরাজ্য ইরানকে দায়ী করলেও সম্পৃক্ততার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তেহরান। তেহরানের দাবি আমলে না নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অচিরেই ব্যবস্থা নেবে বলে মত বিশ্লেষকদের।
সেন্টার ফর আমেরিকান প্রগ্রেস অ্যালিসন ম্যাকমানুস বলেন, ‘মার্কিনীরা খুব বেশি সময় অপেক্ষা করবে বলে আমার মনে হয় না। বিশেষ করে, ইরান সত্যিই এ হামলা চালিয়ে থাকলে দেশটিকে প্রতিরোধ গড়ে তুলে বা সেনা জড়ো করে আবারও মার্কিনীদের লক্ষ্য করে হামলার সুযোগ দেয়ার কারণ নেই। তাই খুব বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্র নীরব থাকবে না।’
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনা নিহতের ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনার আঁচ লেগেছে গাজায় হামাস-ইসরাইল যুদ্ধে। অঞ্চলটিতে নতুন করে যুদ্ধে জড়াতে চায় না বলে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করলেও ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়াদের ওপর নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।