গ্রামীণ কৃষি
কৃষি
0

নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতায় ক্ষতির মুখে আমন চাষিরা

আমনের ভরা মৌসুমেও স্বস্তি নেই নোয়াখালীর সুবর্ণচরের কৃষকদের মনে। বন্যার ২ মাস পরও মাঠ থেকে পানি না নামায় আমন আবাদ করতে পারেনি বহু কৃষক। এমন অবস্থায় উৎপাদনের লক্ষ্য পূরণ তো দূরের কথা- উলটো আশঙ্কা প্রান্তিক কৃষকের খোরাক নিয়ে। তবে বিকল্প উপায়ে সমস্যা সমানের চেষ্টা চলছে বলে জানান স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা।

যেখানে থাকার কথা সোনালি ধান সেই মাঠ এখন কচুরিপানায় ভরা। চরে বেড়াচ্ছে গবাদিপশু। তাইতো আমনের ভরা মৌসুমে সুবর্নচরের চরভাটা ইউনিয়নের কৃষক মো. নুর উল্যাহর কপালে চিন্তার ভাঁজ। প্রতি মৌসুমে প্রায় আড়াইশ মণ ধান পান তিনি। যা বিক্রির টাকায় চলে সংসার। তবে এবার বন্যার পানি জমে থাকায় অধিকাংশ জমিতে আবাদ হয়নি।

জেলার হাজারো কৃষকের একই অবস্থা। ভয়াবহ বন্যায় জেলার অধিকাংশ আমন খেত তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হয় চারা। কিছু জমিতে একাধিকার চারা দিলেও নষ্ট হয় সব। বন্যার দুই মাস পেরলেও এখনো অনেক স্থানে জমে আছে পানি। এমন অবস্থায় জেলার শস্যভাণ্ডার খ্যাত সুবর্ণচরের বেশিরভাগ কৃষকই দিশেহারা।

আগে কখনোই এভাবে ফসলের মাঠ খালি পড়ে থাকাতে দেখেননি স্থানীয়রা। যার জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মানবসৃষ্ট কারণও রয়েছে বলেছেন অনেকে। ফলন বিপর্যয়ের কথা শিকার করে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান জেলার কৃষি কর্মকর্তারা।

নোয়াখালীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কারিমা আক্তার বলেন, ‘শীতকালীন সবজি, হাইব্রিড এবং উফশী বোরো ধানের বীজ ও সার দেয়ার কার্যক্রম আমাদের এখন চলছে । এবার প্রায় সুবর্ণচরের ২২ হাজার কৃষককে প্রণোদনা দেয়া হবে।’

চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৭৪ হাজার ১৪৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ করে কৃষি বিভাগ। যার মধ্যে অনাবাদি রয়ে গেছে ৫০ হাজার ৪১৮ হেক্টর জমি।

এএম