জানা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নোয়াখালীতে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার বাদি সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ও তার ভাই চরজব্বর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ মিয়ার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ‘সাধারণ জনগণ’ এর ব্যানারে মানববন্ধন করে চরজব্বর ইউনিয়নের বিএনপির একটি পক্ষ।
মানববন্ধন চলাকালে হঠাৎ বিএনপির অন্যপক্ষের আবদুল্লাহ মিয়ার লোকজন হামলা চালায়। এসময় চরজব্বর ইউনিয়নের ৭ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. কামাল, যুবদলের কর্মী জাকেরসহ ৭ জন আহত হয়। আহতদের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
জানতে চাইলে আবদুল্লাহ বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কয়েকদিন আগে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন আমার বাবার নামে প্রতিষ্ঠা করা কলেজ দেখতে যান। এরপর কিছু লোক তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার শুরু করতে থাকে। যার জেরে এমপি সাহেবের (কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজান) কিছু ছেলেপেলে এর সঙ্গে জড়িত। তবে তার বিরুদ্ধে শহরে কারা মানববন্ধন করেছে, কারা হামলা করেছে সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, 'জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে দুই পক্ষের হাতাহাতির খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশের একাধিক দল ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে উভয় পক্ষ চলে যায় এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।'





