যমুনার তীরে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বালুর ঘাট পরিচালনা করছে প্রভাবশালী মহল। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে গোবিন্দাসি থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত এবং ভূঞাপুর-গোপালপুর সড়কের বিভিন্ন এলাকায় দেখা মেলে এমন দৃশ্যের ।
স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় পরিচালিত হচ্ছে এসব বালুর ঘাট। রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতেও যাচ্ছে এই বালু। প্রতি ট্রাক বালু বিক্রি করা হচ্ছে সাড়ে ৫ হাজার টাকায় ।
অবৈধ এসব ঘাট দখলকে কেন্দ্র করে ইতোপূর্বে একাধিকবার সংঘর্ষ ও মামলা হয়েছে। এছাড়াও ভারি ট্রাক চলাচলে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক ও ফসলি জমি।
ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল ও যথাযথ নিয়মে ঘাট পরিচালনা না করায় সরকার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। রাষ্ট্রের স্বার্থে এ ব্যাপারে নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করে সচেতন মহল।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের সাধারণ সম্পাদক তরুণ ইউসুফ বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসনের এ বিষয়ে নজর দেয়া প্রয়োজন। যাতে করে সরকার বৃহত্তম রাজস্ব থেকে বঞ্চিত না হয়।’
সরেজমিন পরিদর্শনে ৪০টির বেশি অবৈধ বালুর ঘাটের সন্ধান পেয়েছে জেলা প্রশাসন। এসব ঘাটের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। রাজস্ব আদায়ে বালু মহাল তৈরির জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় দেড় কোটি টাকার ওপরে বালু জব্দ করা হয়েছে যেগুলো অবৈধ চিহ্নিত করতে পেরেছে সরকারি কমিশনার ভূমি। সে প্রেক্ষিতে আমরা নিলামের বিধি মোতাবেক যে ব্যবস্থা নিতে সেটা নিচ্ছি। আর যেহেতু চাহিদা রয়েছে সেটা পূরণে কীভাবে বালুমহাল করা যায় সে ব্যবস্থাও নিচ্ছি।’
বর্তমানে সিরাজগঞ্জের ৪টি বালুমহাল থেকে ১০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা রাজস্ব পাচ্ছে সরকার। অথচ টাঙ্গাইল অংশে যমুনা তীরের বালুর ঘাট থেকে কোনো রাজস্ব আদায় হচ্ছে না।