শুধু জুলাই-আগস্টের আন্দোলনেই নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে প্রায় দেড় হাজারের বেশি মানুষকে। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। তারও আগে বিগত ১৬ বছরের গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড।
সকল অভিযোগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ঘিরে। আগামী নির্বাচনে তারা অংশ নিতে পারবে কিনা, এই প্রশ্নটা এখন নানাভাবেই চাওড় হচ্ছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলছেন, জুলাই গণহত্যার সাথে জড়িতরা নির্বাচনে বা আবার ক্ষমতায় আসুক, তা চায় না দেশের সাধারণ মানুষ।
নির্বাচন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি- আয়োজিত আরএফইডি টকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার।
তিনি জানান, গুম, খুনসহ যারা গুরুতর মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে যুক্ত ছিলেন, তারা যেনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেই সুপারিশ করা হয়েছে সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে।
তিনি বলেন, নির্দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। লেজুরবৃত্তিক ছাত্র শিক্ষক রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর বিদেশী শাখা বন্ধসহ দলগুলোর অভ্যন্তরে গণতন্ত্র সুসংহত করাসহ নানা ধরনের সুপারিশের কথাও জানান তিনি।
তিনি বলেন, গত ৩ নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে, তারা শপথ ভঙ্গ করেছেন। তাদেরকে বিচারের আওতা আনার জন্য তদন্ত কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন।
প্রার্থীরা তাদের প্রচারণায় কোনো পোস্টার ব্যবহার করতে পারবেন না। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সকল প্রার্থীকে সমান সুযোগ দেয়া হবে। এমন সুপারিশ করা হয়েছে সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে।