দীর্ঘ ৭ বছর পর বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন কার্যক্রম। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সবার শুরুতে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে ফরম পূরণ করেন তারেক রহমান। তারপর একে একে মঞ্চে উপস্থিত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের সিনিয়র নেতারা সদস্যপদ নবায়ন করেন। এর মধ্যে দিয়ে দেশব্যাপী সদস্য নবায়ন কার্যক্রম শুরু করে বিএনপি।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে সারাদেশের যুগ্ম মহাসচিব সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার উদ্দেশে ও দলে অনুপ্রবেশকারী ঠেকাতে এই কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বলেন, সুনাম ক্ষুণ্ন করবে এমন সদস্য দলে রাখা যাবে না। এসময় ক্যাম্পাসের মেধাবী ছাত্রদের বিএনপির রাজনীতিতে আনার আহ্বান জানান তারা।
এসময় স্লোগানের রাজনীতি বাদ দিয়ে নেতাকর্মীদের প্রতি বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতি করার আহ্বান জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘এখন যে প্রতিযোগিতা চলছে তা কিন্তু স্লোগান দেয়া প্রতিযোগিতা না। এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে কে কত ভালো লিখতে পারেন, কথা বলতে পারেন তার প্রতিযোগিতা। টকশোতে কে কত ভালো যুক্তিখন্ডন করতে পারেন তার প্রতিযোগিতা। এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।’
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, সৎ ও পরিশ্রমী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে দলকে পুনর্গঠন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘যে মানুষগুলোর কারণে আমরা আজ কথা বলতে পারছি সেই মানুষগুলোকে আবার ঐক্যবদ্ধ করতে চাই। সেই জন্য আজকে আমাদের নবায়ন। দলকে আমরা সঠিকভাবে পুনর্গঠন না করতে পারি আমরা দেশকে পুনর্গঠন করতে পারবো না। রাষ্ট্রকে মেরামত করার জন্য আমরা ৩১ দফা দেশের মানুষের সামনে উপস্থাপন করেছি। সেটিকে বাস্তবায়ন করতে হলে অবশ্যই দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।’
সারাদেশে ১ কোটির অধিক সদস্য হওয়ার আশা বিএনপির। সবশেষ ২০১৭ সালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এই কার্যক্রম সারাদেশে।