ভ্রমণ
ঈদ করতে গ্রামে যাচ্ছেন নগরবাসী
ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছেন নগরবাসী। রোজার শেষ শুক্রবারে কমলাপুর রেলস্টেশনে ছিলো যাত্রীদের ভিড়। কয়েকটি ট্রেন কিছুটা দেরিতে ছাড়লেও শিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেনি। যথাসময়ে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ায় ঘরমুখো মানুষের মধ্যে স্বস্তি ছিলো। তবে রাজধানীর বাসস্ট্যান্ডগুলোতে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়।

ইট-কাঠ আর কংক্রিটের নগর ছেড়ে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানীবাসী এখন শিকড়ের টানে আপন ভূমিতে ছুটছেন।

আজ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ঈদ যাত্রার ৩য় দিন সকাল থেকেই কমলাপুররেল স্টেশনে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। গত ২৬ মার্চ যেসব যাত্রী আগাম টিকিট পেয়েছেন, তারাই আজ কমলাপুর থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন।

ঈদযাত্রায় যাত্রী চাপ সামাল দিতে শুক্রবার থেকে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন যুক্ত হয়েছে। এবার ঈদে যাত্রী চাপ সামাল দিতে কমলাপুর স্টেশনে আলাদা গেট করা হয়েছে। এসব অস্থায়ী গেটের সামনে দায়িত্ব পালন করছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা। টিকিট ছাড়া প্ল্যাটফর্মে কেউ ঢুকতে পারছেন না।

যাত্রীরা বলেন, দীর্ঘদিন পরে বাড়ি যাচ্ছি, খুবই ভালো লাগছে। এই সময়ে বাস বা ট্রেনের টিকিট পাওয়া খুব মুশকিল। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করাটা অন্যরকম অনুভূতি। গতবারের চেয়ে এবার ভিড় কম, নিরাপদে বাড়ি যাচ্ছি।

কিছু ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কিছুটা বিলম্বে ছাড়লেও কোনো রকম শিডিউল বিপর্যয় ছাড়াই সকাল থেকেই একে একে সব ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা জানান, চলতি পথে কোনো ট্রেনে সমস্যা হলে জরুরি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলম কিরণ শিশির বলেন, ‘আমাদের তিন স্তর বিশিষ্ট টিকিট চেকিং ব্যবস্থা কার্যকর আছে। প্রত্যেক যাত্রীকে এনআইডির সঙ্গে মিলিয়ে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে দিচ্ছি। টিকিট যার ভ্রমণ তার এই নীতিতে সব যাত্রীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে।’

এদিকে রাজধানীর মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে একেবারে ভিন্ন চিত্র দেখা গেল। ঈদের আগে এই সময়ে যে পরিমাণ ভিড় থাকার কথা এখানে তার কিছুই নেই। বাস কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতারা যাত্রী চাপ কম হওয়ার কারণ হিসেবে লম্বা ছুটিকে দায়ী করছেন।

তারা বলেন, ‘২৮ রোজা থেকে যাত্রী বাড়তে পারে। ভাড়া আগে থেকে কমছে। এখন যাত্রী নেই বললেই চলে। আমরা লোকসানে আছি।’

২৭ রমজানের পর থেকে যাত্রী-চাপ আরও বাড়বে বলে আশা বাস সংশ্লিষ্টদের।

এভিএস