আজ (বুধবার, ২৩ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে খুলনার দিকে যাচ্ছিলো তেলবাহী ট্রেন। জীবননগর উপজেলার আনছারবাড়ীয়া রেল স্টেশনের ১১ নম্বর পয়েন্টে পৌঁছুলে লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটির ৮টি বগি। এতে খুলনার সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
বুধবার ভোরে খুলনা ও ঈশ্বরদী থেকে আসে দুইটি রিলিফ ট্রেন। পরে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। পর্যায়ক্রমে তেলবাহী ট্রেনের ৮টি লাইনচ্যুত বগি উদ্ধারের পর স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল। এ ঘটনায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন জানান, এখানে কোনো রেল মাস্টার নাই, কোনো লোকজন নাই। যদি আজ রেলমাস্টার থাকতো তাহলে এই দুর্ঘটনা হতো না।
তদন্ত কমিটির প্রধান আনোয়ার হোসেন বলেন, 'দুর্ঘটনাটির জন্য ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন সংগ্রহ করবে যে কি কারণে দুর্ঘটনা হয়েছিল এবং কে দায়ী।'
ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় খুলনা থেকে ঢাকাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ও নকশিকাঁথা আর ঢাকা থেকে খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন আটকা পড়ে। ১১ ঘণ্টা বিভিন্ন স্টেশনে আটকা থাকে কয়েক হাজার যাত্রী। এদিকে খুলনায় নৌবাহিনীর ভর্তি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বেনাপোল ও চিত্রা ছিল কয়েকশ শিক্ষার্থী। যারা পরিক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।
আরও একজন জানান, দীর্ঘ প্রায় ৫-৬ আনছারবাড়ীয়া রেল স্টেশনের নেই কোন স্টেশন মাস্টার।