আজ (রোববার, ২৪ নভেম্বর) ট্রেনটি সকাল ৯টা ১০ মিনিটের সময় ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করে। বেলা সাড়ে ১২টা থেকে ১ টার মধ্যে ট্রেনটি সিঙ্গিয়া স্টেশন হয়ে খুলনা পৌঁছায়।
ট্রেনটি খুলনায় এসে পৌঁছালে রেলপথ বিভাগের সচিব আবদুল বাকি ও রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত হোসেনকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেন খুলনা রেলস্টেশনের কর্মকর্তারা।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের এ শেষ ধাপে পরীক্ষামূলক ট্রেনটিতে ছিলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল বাকের, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাসহ রেলওয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
এসময় রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল বাকী জানান, পরীক্ষামূলক ট্রেনটি সকাল ৯টা ১০ মিনিটে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে পদ্মা সেতু, ভাঙা, নড়াইল হয়ে যাত্রা শুরু করে যশোর সিঙ্গিয়া স্টেশনে এসে পৌঁছায়। আশা করছি সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে আমরা খুলনায় পৌঁছাতে পারবো।
তিনি বলেন, ‘আমরা যে ট্রায়াল রানটি করছি, সে উপলক্ষে আমরা অভিনন্দন জানাচ্ছি নতুন এ রেলপথ নির্মাণে যারা জড়িত ছিলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অর্থায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপের কর্মকর্তাদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি সামনের মাসে অর্থাৎ ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এ নতুন রেলপথে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করতে পারবো।’
ট্রেন চালক মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। আমরা কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে নতুন এ রেলপথে যাত্রাকালে ট্রেনটির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯৫ থেকে ১০০ কিলোমিটার। আর বগি ছিল ১১টি।’