গাজা-ইসরাইল-যুদ্ধ
লেবাননে ইসরাইলি গণহত্যার দ্বিতীয় অধ্যায়
গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান গণহত্যার মধ্যদিয়ে পশ্চিমা নৈতিকতার ব্যর্থতার প্রমাণ মেলে বলে মন্তব্য লেবানিজ এক জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকের। সেই ব্যর্থতার কারণেই লেবাননেও ইসরাইল গণহত্যার দ্বিতীয় অধ্যায় রচনা করছে বলে অভিযোগ তার। তবে লেবাননের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য হিজবুল্লাহকেই দায়ী করছে ইসরাইলের সবচেয়ে বড় পশ্চিমা মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। যারা লেবাননবিরোধী শক্তিকে জোরদার করার পদক্ষেপ নিচ্ছে তাদের তীব্র নিন্দা জানিয়ে রাশিয়া বলছে, হিজবুল্লাহর চেইন অব কমান্ডকে কোনোভাবেই গুঁড়িয়ে দিতে পারবে না ইসরাইল।
হামাস-ইসরাইল যুদ্ধের দুই বছরে দেশে দেশে বিক্ষোভ
আর একদিন বাদেই হামাস-ইসরাইল যুদ্ধের দুই বছর পূর্ণ হবে। ইসরাইলের নৃশংসতার বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে প্রধান প্রধান শহর দখলে নিয়েছে আন্দোলনকারীরা। গাজার পাশাপাশি লেবাননেও অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ছিল বিক্ষোভকারীদের কণ্ঠে। বিভিন্ন শহরে আন্দোলনে যোগ দেন হলোকাস্ট থেকে বেঁচে ফেরা ইহুদিরাও। এদিকে মিছিলের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় রোমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পুলিশের।
লেবাননের প্রতি তেল আবিবের আগ্রাসী আচরণে ক্ষুব্ধ বিশ্ব সম্প্রদায়
গাজায় ইসরাইলের সেনা অভিযানের পাশাপাশি হঠাৎ লেবাননের প্রতি তেল আবিবের আগ্রাসী আচরণে ক্ষুব্ধ বিশ্ব সম্প্রদায়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে 'সামিট ফর ফিউচার' শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে ইসরাইলের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র বলছে, সীমান্তে সংঘাতে জড়ানোর অধিকার কোন দেশের নেই। এসময় বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান বিশ্ব নেতারা। প্রয়োজনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সংস্কারের কথাও বলেন অনেকে।
ইরানের পর উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বাড়াচ্ছে রাশিয়া
কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দিয়েছে রাশিয়া। ইরানের পর উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতাসহ কৌশলগত সম্পর্ক এগিয়ে নিচ্ছে মস্কো। এসব দেশের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহের বিষয়কে নিজেদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব। রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে ইউক্রেনও।
যুদ্ধবিরতি আলোচনায় গতি আনতে আবারও তেলআবিবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইসরাইলি প্রশাসনের বাধার কারণে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে সব প্রচেষ্টা ভেস্তে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে হামাস। অন্যদিকে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে সমঝোতার চেষ্টা চলছে এবং আলোচনা অত্যন্ত জটিল পর্যায়ে রয়েছে। এদিকে, যুদ্ধবিরতি আলোচনায় গতি আনতে আবারও তেলআবিব সফরে গেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যন্টনি ব্লিংকেন। চলমান সহিংসতা শুরুর পর এটি ব্লিংকেনের দশম ইসরাইল সফর।
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলমান উত্তেজনা কমবে: মার্কিন প্রতিনিধি
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলে, ইসরাইলে হামলা নাও চালাতে পারে ইরান, এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রায় একই ধরনের মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন প্রতিনিধিও। জানান, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেই কমে আসবে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলমান উত্তেজনা। এদিকে, গাজা শহরের একটি স্কুলে ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে, ইসরাইলকে উদ্দেশ্য করে ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায়ের নিন্দা কখনোই ভ্রূক্ষেপ করে না তেল আবিব।
গাজার শরণার্থী শিবিরগুলোয় পুরোদমে সেনা অভিযান ইসরাইলের
হামাস নির্মূলের নামে এবার গাজার শরণার্থী শিবিরগুলোতে পুরোদমে সেনা অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইল। গেলো কয়েকদিনে গাজা উপত্যকায় আইডিএফ এর সেনা অভিযানে নতুন করে গৃহহীণ হয়েছেন আরও ৭৫ হাজার ফিলিস্তিনি। ১৫ আগস্ট যুদ্ধবিরতির আলোচনার কথা থাকলেও হামাস শর্ত জুড়ে দিয়েছে, জো বাইডেনের প্রস্তাবেই আলোচনা করবে সশস্ত্র এ গোষ্ঠীটি। এরমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের জলসীমায় নতুন করে যুদ্ধবিমান আর রণতরী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
থামছেনা অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি বর্বরতা
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি বর্বরতা যেন থামছেইনা। এবার, গাজা সিটির একটি স্কুল লক্ষ্য করে ইসরাইলি বাহিনীর ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। বিমান হামলা জোরদার করা হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস ও এর আশপাশের এলাকাতেও। সেখানে এরইমধ্যে নতুন করে আরও প্রায় ৭০ হাজার বাসিন্দাকে জোরপূর্বক এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।
গাজার স্কুলে ইসরাইলি হামলায় ১৫ শিশুসহ ৩০ জনের প্রাণহানি
গাজার দিয়ের আল-বালাহ অঞ্চলের একটি স্কুলে ইসরাইলি হামলায় ১৫ শিশুসহ অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে। স্কুলটি অস্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও শরণার্থী শিবির হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হতে পারেন কামালা হ্যারিস
ইতিহাস গড়ার হাতছানি কামালা হ্যারিসের সামনে। আসন্ন নির্বাচনে জয়ী হলে তিনিই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। বাইডেনের সরে যাওয়ার পর অনেকটাই খোলাসা হয়ে গেছে তার পথ। বিশ্লেষকদের ধারণা, গাজা ও ইউক্রেন যুদ্ধসহ চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন কামালা।