শুক্রবার (৯ আগস্ট) গাজা শহরের একটি স্কুল আর মসজিদে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। ওই হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহতের ঘটনা ঘটলেও চুপ নেই আইডিএফ। উল্টো প্রকাশ করা হয় হামলার ভিডিও। নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরোচিত ওই হামলার তীব্র নিন্দা জানায় জাতিসংঘ।
এরমধ্যেই হামাস নির্মূলের নামে দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসে অভিযান জোরদারের ঘোষণা দিয়ে দ্রুত সেখানে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয় ইসরাইলি প্রশাসন। ফলে, নতুন করে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন সেখানকার হাজার হাজার অসহায় ফিলিস্তিনি।
এরমধ্যেই, আগামী ১৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র, কাতার আর মিশরের মধ্যস্থতায় ইসরাইল আর হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। হামাস বলছে, গেলো ৩১ শে মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন,আর উপর ভিত্তি করেই আলোচনা করবে হামাস। রোববার এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি জানায়, ইসরাইলকে অবশ্যই গাজায় নির্বিচার আগ্রাসন ও গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। যৌথ বিবৃতিতে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেনও।
এদিকে, গাজার স্কুল ও মসজিদে হামলায় বহু হতাহতের ঘটনায় আরব রাষ্ট্রগুলোর পাশাপাশি তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ১০ মাসের হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ আঞ্চলিক দ্বন্দ্বে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছে যুক্তরাষ্ট্রও। আর তাই সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় মধ্যপ্রাচ্যের জলসীমায় আরও রণতরী পাঠাচ্ছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। পেন্টাগন জানায়, প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন নির্দেশ দিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যে আরও যুদ্ধবিমান আর রণতরী পাঠানোর। কারণ, ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের আশঙ্কা, ইসরাইলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে অচিরেই ইরান থেকে বড় পরিসরে হামলা হবে।
গেল জুলাই থেকেই ভূমধ্যসাগরে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু শক্তিধর সাবমেরিন ইউএসএস জর্জিয়া। চরম এই উত্তেজনার মধ্যে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে অন্তত ৩০ টি রকেট ছুড়েছে লেবানন।
মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি যখন ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে, ঠিক তখনই সেখানকার জলসীমায় রণতরী পাঠানোর নির্দেশনা দিয়ে অবকাশ যাপন করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শনিবার (১০ আগস্ট) ডেলাওয়্যারের একটি সমুদ্র সৈকতে তাকে সূর্যস্নান করতে দেখা যায়। এমনকি রোববার তাকে বাইসাইকেলে করে ঘুরে বেড়াতেও দেখা যায়।