হিজবুল্লাহর রকেট হামলায় ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলের হাইফা শহরের গাড়িগুলোর হয়েছে এই বেহাল দশা। হাইফার কাছে সেনাঘাঁটিতেও হামলা করেছে হিজবুল্লাহ।
ইসরাইলের তাণ্ডবে ক্ষোভে ফুঁসছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। উত্তরাঞ্চলের গ্যালিলিতেও রকেটের ব্যারেজ ছুড়েছে হিজবুল্লাহ। সেসময় কয়েকটি শহরে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে প্রতিরক্ষা বাহিনী।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ হতে না হতেই গাজা আর লেবাননে নতুন উদ্যমে হামলা শুরু করেছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। প্রতিদিনই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।
ফিলিস্তিন আর লেবাননে গণহত্যা বন্ধে ইসরাইলকে বারবার আহ্বান জানাচ্ছে জাতিসংঘ। ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানো হচ্ছে ৫২ দেশের পক্ষ থেকে। এরপরও নেই তেল আবিবের কোনো ভ্রূক্ষেপ।
জাতিসংঘে তুর্কিয়ের রাষ্ট্রদূত আহমেত ইলদিজ বলেন, ‘আমরা যৌথভাবে চিঠি দিয়েছি ইসরাইলে অস্ত্র সহায়তার বিরোধিতা করে। ওআইসির ভুক্ত দেশগুলোর কাছে চিঠি দিয়েছি। গাজায় এই গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক আইন পাশ করতে হবে। এরমধ্যে থাকবে পূর্ব জেরুজালেম, লেবাননসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্য। ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা দেয়া বন্ধ করতে হবে।’
এদিকে, হোয়াইট হাউজ বলছে, লেবানন আর গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযান বন্ধের চেষ্টা করে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। পেন্টাগন বলছে, গাজায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে সহযোগিতা করছে ইসরাইল, তবে তা অপ্রতুল। প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, বৃহত্তম আশদদ বন্দর দিয়ে গাজার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের ত্রাণ প্রবেশ করছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেন, ‘যতবারই ইওয়াভ গ্যালন্তের সঙ্গে কথা বলেছি, ততবার তিনি বলেছেন, চেষ্টা করবেন গাজায় মানবিক সহায়তা দেয়ার পথ স্বাভাবিক রাখতে। তারা কিছু কাজ করেছে। কিন্তু আরো কাজ করতে হবে। আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।’
এরমধ্যে নেদারল্যান্ডসের অ্যামস্টারডামে ফুটবল ম্যাচের সময় ফিলিস্তিনের সমর্থক আর মাক্কাবি তেল আবিব ক্লাবের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ ইসরাইলি সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের দ্রুত ফিরিয়ে নিতে উদ্ধারকারী বিমান পাঠাচ্ছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।