গাজা সিটির একটি স্কুলে ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় শতাধিক নিরীহ ও গৃহহীন ফিলিস্তিনির মৃত্যুর পর থেকেই বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। ইসরাইলের পক্ষ থেকে ভবনটিতে হামাস সদস্যরা লুকিয়ে ছিলেন বলে দাবি করা হলেও, প্রাণ গেছে নিরস্ত্র অসহায় ফিলিস্তিনিদের, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। হামাস বিরোধী অভিযানের নামে এতগুলো মানুষের মৃত্যু যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দা ও নিহতদের স্বজনেরা। অথচ হামলার পর থেকেই নিরব ভূমিকা পালন করে আসছে পশ্চিমারা। নিশ্চুপর আছে আরব বিশ্বও।
অবশেষে হামলার চারদিন পর ন্যাক্কারজনক ওই হামলার বিষয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) জরুরি বৈঠকে বসে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। এতে, গাজার স্কুলে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানায় চীন। অন্যদিকে, জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি রিয়াদ মানসুর জানান, বিশ্ব সম্প্রদায় যতই হামলার নিন্দা জানাক না কেন, ইসরাইল এসবের পরোয়া করে না। আর হামলার নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘে মার্কিন প্রতিনিধি লিন্ডা থমাস জানান, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেই মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা কমে আসবে।
লিন্ডা থমাস বলেন, 'মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলমান উত্তেজনা কমিয়ে আনা যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। একইসঙ্গে, ভবিষ্যতে এ অঞ্চল লক্ষ্য করে যেকোনো ধরনের হামলা ও সংঘাতও প্রতিহত করতে চাই আমরা। সেক্ষেত্রে গাজায় একটি কার্যকর যুদ্ধবিরতি চুক্তিই হতে পারে উত্তেজনা প্রশমনের শুরু। আমি আশা করি, গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরে সবপক্ষকে এখনই এগিয়ে আসা উচিত।'
এরমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, হামাস নেতা হানিয়া হত্যাকাণ্ডের জেরে ইসরাইলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে যেকোনো মুহূর্তে ইরানের হামলার আশঙ্কা করা হলেও, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে হয়তো হামলা চালানো থেকে বিরত থাকবে তেহরান।
এদিকে, কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি আলোচনায় হামাস প্রতিনিধিদের ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। একইসঙ্গে, চলতি সপ্তাহেই হামাস যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।