
চারশো মানুষ মারার পর নেতানিয়াহু বললেন- ‘কেবল শুরু’
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ১৫ মাসের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিনের পর এ হামলা 'কেবল শুরু', বললেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। আজ বুধবারও (১৯ মার্চ) রাফাহ ও খান ইউনিসে হামলায় নিহত মা ও শিশুসহ কমপক্ষে ১৪ জন। বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠলেও ফিলিস্তিনিদের এ দুর্দশার জন্য হামাসের ওপর দায় চাপিয়েছে ইসরাইলের ঘনিষ্ঠতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় নতুন করে সংঘাতের বিরোধিতায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইসরাইলেই চলছে বিক্ষোভ।

গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনে নতুন করে শুরু হয়েছে মৃত্যুর মিছিল
মাত্র দুই মাসের বিরতি দিয়ে পবিত্র রমজানেই গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের আগ্রাসনে হতবাক উপত্যকার সাধারণ মানুষ। নতুন করে শুরু হয়েছে মৃত্যুর মিছিল। বিমান হামলায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় নেয়া তাঁবুগুলো নিমিষে ছাই হয়ে গেছে। স্বজনরা হাসপাতালে ঘুরছেন আহত কিংবা মৃত পরিবারের সদস্যের খোঁজে। গাজাবাসী বলছে, ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে উন্মাদ হয়ে গেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী।

ইসরাইলি বর্বরতায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২৬
অবশেষে ভেস্তে গেল সাময়িক যুদ্ধবিরতি। গাজা উপত্যকাজুড়ে আরও একবার ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরতা দেখলো বিশ্ববাসী। একরাতের হামলায় নিহতের সংখ্যা এরইমধ্যে ৩২৬ দাঁড়িয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরামর্শ করেই এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। সামনের দিনগুলোতে আক্রমণের ভয়াবহতা আরও বাড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।

জিম্মিদের হত্যার প্রতিশোধ নেবে ইসরাইল: নেতানিয়াহু
জিম্মি অবস্থায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়ার আগ পর্যন্ত ক্ষান্ত হবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। যদিও ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, হামাস যে ৪টি মরদেহ হস্তান্তর করেছে তার মধ্যে একটি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে, হামাসের অভিযোগ, আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করেছে নেতানিয়াহু বাহিনী।

শনিবার আরো তিন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস
নির্ধারিত চুক্তি অনুযায়ী শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আরো তিন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দিতে যাচ্ছে হামাস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম দ্য হারেৎজ। হামাস যদি চুক্তি লঙ্ঘন করে তবে গাজাকে দোজখে পরিণত করার হুঁশিয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর।

গাজায় আবারো আগ্রাসন শুরুর হুঁশিয়ারি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর
আগামী শনিবার দুপুরের মধ্যে হামাস বাকি জিম্মিদের মুক্তি না দিলে, গাজায় আবারও আগ্রাসন শুরুর হুঁশিয়ারি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর। এরআগে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে বন্দী বিনিময় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে হামাস। তবে আসলেই কী ইসরাইল চুক্তি লঙ্ঘন করেছে? এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে আলজাজিরা। যেখানে উঠে এসেছে হামাসের দাবির সত্যতা ও নেতানিয়াহুর দুরভিসন্ধি।

ট্রাম্পের হাত ধরে মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস বদলে দিতে চান নেতানিয়াহু
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এযাবৎকালে ইসরাইলের সবচেয়ে ভালো বন্ধু বলে আখ্যা দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। ট্রাম্পের হাত ধরে মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস বদলে দিতে চান তিনি। এরইমধ্যে ইরানের ওপর চাপ তৈরি ও হামাস নির্মূলের ঘোষণাও দিয়েছেন নেতানিয়াহু। যদিও সৌদি আরবে আলাদা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র স্থানান্তর করা ট্রাম্পের প্রস্তাবে নড়েচড়ে বসেছে পুরো আরব বিশ্ব।

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনায় ইসরাইলের সমর্থন, আরব-ইউরোপের বিরোধিতা
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর মতে গাজা উপত্যকা নিয়ে অসাধারণ পরিকল্পনা করেছেন ট্রাম্প। এ নিয়ে সমালোচনার কিছু নেই। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিজেদের প্রস্তুত রাখছেন আরব আমেরিকান ও মুসলিম নেতারা। অন্যদিকে, দ্বিরাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমেই সমাধান চেয়েছেন পুতিন। গাজা নিয়ে হঠকারী প্রস্তাবের দায়ে ট্রাম্পকে অভিশংসনের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা। ইসরাইলি জরিপ বলছে, ৭২ শতাংশ উত্তরদাতা ট্রাম্পের প্রস্তাবের পক্ষে মত দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকবে গাজা উপত্যকা: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের দখলে থাকবে গাজা উপত্যকা। নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একটা লম্বা সময় গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উপত্যকাকে পুরোপুরি ঢেলে সাজানোর প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি। এছাড়া, ফিলিস্তিনিদের গাজার বাইরে স্থানান্তরের পরামর্শও দিয়েছেন। এদিকে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে গেলে বদলে যাবে গাজার ইতিহাস।

ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র সফরে নেতানিয়াহু
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। তাদের এ বৈঠকে সিদ্ধান্ত আসতে পারে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ নিয়ে। এছাড়াও সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতেও চেষ্টা চালাচ্ছেন নেতানিয়াহু।

আরো তিন ইসরাইলি বন্দিকে হামাসের মুক্তি
যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় আরো তিন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্ত করলো হামাস। এদিকে শনিবারই (১ ফেব্রুয়ারি) আরও ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্ত করবে ইসরাইল। প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, সব বন্দিকে মুক্ত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ইসরাইল।

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব নিতে মরিয়া ট্রাম্প!
যেকোনো মূল্যে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে চান বলেই ইসরাইলকে হাতে রাখার চেষ্টা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্যের সাথে জড়িয়ে আছে মার্কিনদের অর্থনৈতিক স্বার্থও। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ঠিক এ কারণে একদিকে গাজা পুনর্গঠনের পরামর্শ ও অন্যদিকে ইসরাইলকে দু'হাজার পাউন্ডের বোমা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ট্রাম্প, আর তাই আগামী দিনে সে উদ্দেশ্য পূরণেও ইসরাইলকে ব্যবহার করবেন তিনি।