একদিকে গাজা উপত্যকায় বন্দি বিনিময় চলছে। ইসরাইলি গুটিকয়েক বন্দিকে মুক্ত করছে হামাস, বিনিময়ে কয়েকশ' ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল। শনিবারও তিন বন্দিকে মুক্ত করছে হামাস, বিপরীতে ১৮৩ জন ইসরাইলি ফিলিস্তিনিকে মুক্ত করবে ইসরাইল। এরমধ্যেই বন্দিদের নাম প্রকাশ করেছে হামাস।
এদিকে, বন্দি বিনিময় আর সেনা প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে গাজায় পুরোদমে কার্যকর হবে যুদ্ধবিরতি। প্রথম ধাপের এই যুদ্ধবিরতিতে ৪২ দিনের মধ্যে ৩৩ বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস। ইসরাইল মুক্ত করবে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে। সব বন্দিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে মুক্তির দাবিতে ইসরাইলে আবারও বিক্ষোভ হয়েছে।
অন্যদিকে, উপত্যকার পশ্চিমতীরে আগ্রাসন বাড়ছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর। পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে সামরিক অভিযান বন্ধের কোনো সম্ভাবনা নেই। জেনিনে একটি বাড়ি উড়িয়ে দিয়েছে আইডিএফ। তুলকারেমে ষষ্ঠ দিনের মতো চলছে অভিযান। ঘরবাড়ি থেকে জোর করে বের করে দেয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।
মিশরে গাজার একমাত্র প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ রাফা ক্রসিং নয় মাস পর প্রথমবারের মতো খুলে দেয়া হচ্ছে, স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন এমন রোগীকে সরিয়ে নেয়ার জন্য। গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার পর্যায়ে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা বন্ধ করে দিলেও গাজায় সহায়তা অব্যাহত রাখবে ফিলিস্তিনের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ।
এমন অবস্থায় মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তৃতীয়বারের মতো ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, মিশর আর জর্ডান ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের গ্রহণ করবে। জানা গেছে, বাইডেন প্রশাসনের আরেকটি স্থগিতাদেশ তুলে নেবেন ট্রাম্প। যে কারণে আরও ২৪ হাজার রাইফেল পেতে পারে ইসরাইল।