ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র সফরে নেতানিয়াহু

মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। তাদের এ বৈঠকে সিদ্ধান্ত আসতে পারে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ নিয়ে। এছাড়াও সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতেও চেষ্টা চালাচ্ছেন নেতানিয়াহু।

আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। মধ্যপ্রাচ্যের টালমাটাল পরিস্থিতিতে বন্ধু ট্রাম্পকে পাশে চান, এই আবদারে ওয়াশিংটনে হাজির হন তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এটিই বহির্বিশ্বের কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর।

আগামী মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে নেতানিয়াহুর। সেসময় বেশ কিছু এজেন্ডা নিয়ে আলোচনার পরিকল্পনা রয়েছে তার। দুই নেতার বৈঠকে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় বা চূড়ান্ত ধাপ নিয়ে আসতে পারে সিদ্ধান্ত।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে মোট ৩৩ ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেয়ার কথা রয়েছে ইসরাইলের। আর দ্বিতীয় ধাপে আলোচনার মাধ্যমে ইসরাইলের বাকী বন্দিদের মুক্তির মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটার কথা রয়েছে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধের। এছাড়াও, ট্রাম্প-নেতানিয়াহু বৈঠকে গুরুত্ব পাবে মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও মজবুত হতে যাচ্ছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে এ সফরে। ইসরাইল এবং আরব দেশগুলোতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এ বৈঠক জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

নেতানিয়াহুর এ সফর মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৌদি আরব প্রসঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হারেতজ’ এ প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর বৈঠকের অন্যতম এজেন্ডা হচ্ছে রিয়াদের সঙ্গে তেল আবিবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করা।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী যখন মার্কিন মুলুকে তখন মিশরের কায়রোতে বৈঠক করেছেন কাতার, মিশর, জর্ডান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেসময় গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে জর্ডান ও মিশরে পাঠানোর ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন তারা।

যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজার পশ্চিম তীরের জেনিনে তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরাইলি দখলদাররা। গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে ২৫টি বহুতল ভবন। জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে পশ্চিম তীরে এ পর্যন্ত ৫০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনারা।

এসএস