
ইরানের হামলার পর লেবাননে সেনা অভিযান জোরদার করেছে ইসরাইল
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর লেবাননে সেনা অভিযান আরও জোরদার করেছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। এতে, নতুন করে আরও নয়জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। আহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন। আইডিএফ জানিয়েছে, লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত চলবে এই সেনা অভিযান। এদিকে, স্যাটেলাইট ছবিতে ফুটে উঠেছে তেলআবিবে বিমানঘাঁটিতে ইরানি হামলায় ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, প্রতিশোধ হিসেবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা ছক কষছে ইসরাইল।

ইসরাইলে দুই শতাধিক ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ ইরানের
ইসরাইলের ভূখণ্ডে দুই শতাধিক ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুঁড়েছে ইরান। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পর এই হামলা চালানো হয়। ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি কর্পসের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা।

হিজবুল্লাহ'র প্রধান হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যার দাবি ইসরাইলের
হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যার দাবি করেছে ইসরাইল। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতভর ইসরাইলি হামলায় লেবাননে কমপক্ষে ছয় জন নিহত হয়েছেন। দেশটির দক্ষিণাঞ্চল ও দক্ষিণ বৈরুতে শিগগিরই হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী, আইডিএফ। হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত পাঁচ হাজার পাউন্ডের বাংকার বাস্টার বোমা ব্যবহারের অভিযোগ জানিয়েছে ইরান। জাতিসংঘ মহাসচিবের দাবি, সংঘাত বন্ধ করতে না পারলে যুদ্ধে জড়াতে পারে বাইরের আরও অনেক পক্ষ।

আইডিএফের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার ঘোষণা ইসরাইল বিমানবাহিনীর
ইসরাইলের ধ্বংসাত্মক হামলা লেবাননে প্রাণহানি ৭০০ ছাড়িয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বাড়িঘর ছেড়েছেন এক লাখের বেশি বাসিন্দা। এর মধ্যেই স্থল অভিযান শুরুর জন্য আইডিএফের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার ঘোষণা দিলো ইসরাইলের বিমানবাহিনী। অন্যতম লক্ষ্য হবে হিজবুল্লাহর শক্তি কমাতে ইরান থেকে আসা অস্ত্রের সব চালান আটকে দেয়া। হুমকি ধামকিকে পাত্তা না দিয়ে ইসরাইলি ভূখণ্ডে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে হিজবুল্লাহ। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইয়েমেনের হুতিরা বিদ্রোহীরাও।

ইসরাইলি হামলায় গাজায় একই পরিবারের ১১ সদস্য নিহত
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিনভর ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহত কমপক্ষে ২৬ জন। যার মধ্যে ১১ জন একই পরিবারের সদস্য।

গাজায় জাতিসংঘ কর্মীদের ওপর হামলায় গুতেরেসের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া
গাজার নুসেইরাতে জাতিসংঘের স্কুলে হামলায় কমপক্ষে ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হতাহতের তালিকায় রয়েছে জাতিসংঘের কর্মীরাও। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, গাজায় যা চলছে তা মেনে নেয়া যায় না। পশ্চিমতীরে ১৬ দিনের ইসরাইলি অভিযানে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে অর্ধশত। এদিকে নতুন শর্ত যুক্ত না করলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরে প্রস্তুত রয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হামাস।

গাজা উপত্যকায় আবারও ২৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় আরও ২৭ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে খান ইউনিসেই নিহত হয়েছেন ১৩ জন ফিলিস্তিনি।

সেনা অভিযানে নতুন করে ৩১ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
গাজায় ইসরাইলি সেনা অভিযানে নতুন করে ৩১ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। গেলো ২৪ ঘণ্টায় স্কুলে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত সাধারণ ফিলিস্তিনির ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।

'গাজার দক্ষিণাঞ্চলের করিডোর থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে না ইসরাইল'
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু সীমাহীন চাপের মুখে থাকলেও, হামলা অব্যাহত রয়েছে মূল ভূখন্ডের পাশাপাশি অধিকৃত পশ্চিমতীরেও। এরমধ্যেই নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস পুরোপুরিভাবে নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের করিডোর থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে না ইসরাইল। অন্যদিকে হামাস বলছে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যই প্রমাণ করে, তিনি যুদ্ধবিরতি চুক্তি চান না।

শিশুদের পোলিও টিকা দিতে গাজায় শর্তসাপেক্ষে যুদ্ধবিরতি
শিশুদের পোলিও টিকা দিতে গাজায় শর্তসাপেক্ষে এবং সীমিত পরিসরে মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরাইল-হামাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে কয়েক ধাপে গাজার মধ্য, দক্ষিণ আর উত্তরাঞ্চলে চলবে পোলিও টিকাদান কার্যক্রম। এরমধ্যেই, গাজার পাশাপাশি অধিকৃত পশ্চিমতীরে অব্যাহত রয়েছে ইসরাইলি বাহিনীর নজিরবিহীন আগ্রাসন।

পশ্চিমতীরে চরম আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী
যুদ্ধবিরতির কোন অগ্রগতি না থাকার সুযোগে গাজা উপত্যকার পাশাপাশি অধিকৃত পশ্চিমতীরে চরম আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। ইসরাইলি গণমাধ্যম বলছে, দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সেনা অনুপ্রবেশ ঘটছে অধিকৃত পশ্চিমতীরে। দ্বিতীয় দিনের অভিযানে ৫ সন্ত্রাসীকে হত্যার দাবি জানিয়েছে আইডিএফ। এই সেনা অনুপ্রবেশের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এদিকে, সহিংসতার আশঙ্কায় গাজা উপত্যকায় কার্যক্রম স্থগিত করেছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি।

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে দৃশ্যত কোনো অগ্রগতি নেই
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে দৃশ্যত কোন অগ্রগতি না থাকায় ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি। শুধু গাজা নয়, অধিকৃত পশ্চিমতীরেও অভিযান জোরদার করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। পশ্চিমতীরে সেনা অভিযানে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ১১ ফিলিস্তিনির। শরণার্থী শিবিরগুলোতেও আইডিএফের হামলায় বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজার বিভীষিকাময় পরিস্থিতির কারণে পশ্চিমতীর থেকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজর সরে গেছে। এদিকে, লোহিত সাগরে হুথি বিদ্রোহীদের আগুন দেয়া জাহাজ থেকে জ্বালানি তেল সাগরে ছড়িয়ে পড়ে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা।