তবে আয়রন ডোম থাকায় এই হামলায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। আর ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইরানকে এই হামলার উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় তেহেরান থেকে ইসরাইলের দিকে অন্তত ১৮০টির বেশি মিসাইল ছোড়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। আপদকালীন সাইরেন বাজছে গোটা তেল আবিব জুড়ে। বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে প্রশাসন। জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
রাজধানী তেল আবিবের আকাশে মিসাইল উড়ে যেতে দেখা গেছে বলেও জানানো হচ্ছে। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বার্তায় দেশের নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয় সেনা কমান্ডের নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলেছে।
‘সাইরেন শুনলে আপনাকে অবশ্যই একটি সুরক্ষিত এলাকায় যেতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে,’ বলা হয়েছে বার্তায়।
এর আগে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, ইরান থেকে বড় ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হতে পারে। হামলার সময় নাগরকিদের নিরাপদ কক্ষে অবস্থান করতে বলা হয়। ইসরাইল জুড়ে সাইরেন বাজিয়ে এরই মধ্যে বাসিন্দাদের ঘরে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত হিজবুল্লাহ প্রধানের মৃত্যুর পর ইসরাইলকে উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা।
হামলার পর এর দায় স্বীকার করেছে ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি কর্পস। ইরানের গণমাধ্যম ইরনাকে তারা জানিয়েছে, হামাস ও হিজবুল্লাহ নেতাকে হত্যার চরম পরিনতি ভোগ করতে হবে ইসরাইলকে। প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইরানের হামলা সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে। তেহরানকে উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত তেল আবিব। এরই মধ্যে বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, আয়রন ডিফেন্স ডোম থাকায় ক্ষয়ক্ষতির তেমন আশঙ্কা করছেন না বিশ্লেষকরা। এখনও পর্যন্ত ইরানের হামলায় রাজধানী তেল আবিবে ২ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, ওয়াশিংটন থেকে সবশেষ পরিস্থিতির খবরাখবর রাখছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস। ইরান থেকে ছোঁড়া মিসাইল ভূপাতিত করতে মার্কিন সেনাবাহিনীকে নির্দেশও দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
আর এই হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব বলছেন, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হলে ভয়াবহ পরিনতি ভোগ করতে হবে। আর লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাটি বলেছেন, লেবানন তার ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিনতম সময়ের মুখোমুখি হয়েছে।