
পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আজও জুনিয়র চিকিৎসকদের বিক্ষোভ
আরজি কর ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় পাঁচ দফা দাবিতে অনড় পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র চিকিৎসকরা। দাবি উপেক্ষা করে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, নিঃশর্তভাবে বৈঠকে বসতে হবে দু'পক্ষকে। এমন শর্ত-পাল্টা শর্তের কারণে শেষ পর্যন্ত বৈঠক না হওয়ায় স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বুধবারও রাতভর বিক্ষোভ করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

কোর্টের নির্দেশ অমান্য, স্বাস্থ্য বিভাগের বাইরে অবস্থান চিকিৎসকদের
কর্মস্থলে ফিরে যেতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য বিভাগের বাইরে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। আজ (মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্য ভবন অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে, ১০০ মিটার পুলিশ বাধা দিলে সেখানেই বসে পড়েন তারা। ভেতরে ঢুকতে না দিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

কলকাতায় ভিড় করতে শুরু করেছেন বাংলাদেশি পর্যটকরা
আসন্ন দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ভিড় করতে শুরু করেছেন বাংলাদেশি পর্যটকরা। গেল মাসে আরজি কর কাণ্ডের জেরে কলকাতার নিউ মার্কেটে বেচা-কেনায় যে মন্দা শুরু হয়েছিল, পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হওয়ায় তা আবার জমে উঠেছে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তারা মনে করেন, ভিসা জটিলতা দূর হলে পর্যটক সংখ্যা আরও বাড়বে।

আরজি কর কাণ্ডে এক মাস ধরে অচল কলকাতাসহ পুরো পশ্চিমবঙ্গ
আরজি কর কাণ্ডে আন্দোলন চরম পর্যায় পৌঁছানোয় কলকাতাসহ পুরো পশ্চিমবঙ্গে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। আতঙ্কে বাজার-বন্দরে যাওয়াও কমিয়ে দিয়েছে সাধারণ মানুষ। এতে অনেকটাই ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজার। লোকসান গুণতে হচ্ছে মাছ, মাংস ও সবাজি ব্যবসায়ীদের। একই হাল হোটেল-রেস্তোরাঁ, স্বর্ণালঙ্কার এবং শোবিজ অঙ্গনের ব্যবসায়ও।

পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা নেমেছে অর্ধেকে
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসকদের টানা আন্দোলনে সরকারি হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে গেছে। এক মাস আগেও দিনে গড়ে ৭০ হাজার রোগী বহির্বিভাগে সেবা পেলেও বর্তমানে তা ৩৫ হাজারের কম। তিন ভাগের একভাগে নেমে এসেছে দৈনিক অস্ত্রোপচারের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর ভিড়।

ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় এখনও ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা কলকাতা!
ভারতে আরজি কর মেডিকেল কলেজে ইন্টার্ন চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় এখনও ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা কলকাতা। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) পুরো শহরের আলো নিভিয়ে মোমবাতি হাতে বিক্ষোভ করেন পশ্চিমবঙ্গের হাজারও নারী। এদিকে, বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বীভৎসতা শিকার ইন্টার্ন চিকিৎসকের পরিবার জানান, ঘটনা ধামাচাপা দিতে তাদের ঘুষ দিতে চেয়েছিলো পুলিশ। এদিকে, পুলিশের প্রধান কার্যালয়ের সামনে আজও জুনিয়র চিকিৎসকদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে মোমবাতি হাতে 'রাত দখল' বিক্ষোভ
ভারতে আরজি কর মেডিকেল কলেজে ইন্টার্ন চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় এখনও ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা কলকাতা। বুধবার ( ৪ সেপ্টেম্বর) পুরো শহরের আলো নিভিয়ে মোমবাতি হাতে বিক্ষোভ করেন পশ্চিমবঙ্গের হাজারো নারী। এদিকে, বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বিভৎসতার শিকার ইন্টার্ন চিকিৎসকের পরিবার জানান, ঘটনা ধামাচাপা দিতে তাদের ঘুষ দিতে চেয়েছিলো পুলিশ। এদিকে, পুলিশের প্রধান কার্যালয়ের সামনে আজও জুনিয়র চিকিৎসকদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

বন্যায় বিপর্যস্ত দার্জিলিং,আসাম, ত্রিপুরা-তেলেঙ্গানা
রাতভর বৃষ্টির আকস্মিক ঢলে বিপর্যস্ত হয়ে আছে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং। ৪৫ মিনিটের টানা বৃষ্টিতে অচল হয়ে গেছে আসাম। ত্রিপুরায় গোমতী নদীতে পানির উচ্চতা কমতে শুরু করলেও দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। তেলেঙ্গানাতেও বন্যার পানি কমছে, কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, নেই বিশুদ্ধ পানি। দুই দশকের ভয়াবহতম বন্যা চলছে অন্ধ্র প্রদেশেও।

নারী কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ভারতের স্বাস্থ্য সেবাখাত
নিরাপত্তা যেখানে মৌলিক অধিকার, সেখানে নারী কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ভারতের স্বাস্থ্য সেবাখাত। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি পুরো ভারতে নারী চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে কার্যকর কোন উদ্যোগ নেই দেশটির সরকারের। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে নিরাপত্তা শূন্যের কোটায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেবা দিয়ে তাদের জীবন বাঁচালেও সেই চিকিৎসকদের জীবন নিয়ে দায়সারা ভারত সরকার। কঠোর আইন, আইনের প্রয়োগ আর শাস্তির বিধান না থাকায় ভারতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে নারী কর্মীদের নিরাপত্তাহীনতা।

কলকাতা নগর আদালতে তোলা হয়েছে পিকে হালদারসহ পাঁচজনকে
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কলকাতা নগর আদালতে তোলা হয়েছে পিকে হালদারসহ পাঁচজনকে। বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেয়ায় বিপাকে স্থানীয় ভারতীয়রা
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তিস্তার তাণ্ডবে প্রতিনিয়ত আশ্রয়হীন হয়ে পড়ছেন নদী তীরবর্তী মানুষ। ফলে, চরমে পৌঁছেছে ভোগান্তি।

পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই: মুখ্যমন্ত্রী মমতা
পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই উল্লেখ করে সবাইকে সঙ্গে নিয়েই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে বিজেপি বলছে, নবান্ন অভিযানে যেভাবে মানুষ মমতার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এসেছে, চলমান আন্দোলন আরও বড় আকার ধারণ করলে গদি নড়বড়ে হয়ে পড়বে মুখ্যমন্ত্রীর। এরমধ্যেই, আরজি কর কাণ্ডে মমতার পদত্যাগের দাবিতে নবান্ন অভিযান ও 'বাংলা বনধ' কর্মসূচির পর রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন ধরনের হামলা ও গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে।