প্রায় এক মাস ধরে চলমান আন্দোলনে উত্তাল কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গ। চিকিৎসকদের আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন, এমনকি তারকারাও। এতে চরম রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি টালমাটাল গোটা রাজ্যের ব্যবসা-বাণিজ্যে।
সকাল, সন্ধ্যা কলকাতার যেসব বাজারে ভিড় লেগে থাকতো, সেখানে এখন ক্রেতা শূন্যতায় সময় পাড় করছেন বিক্রেতারা। আতঙ্কে বাজারে আসছে না মানুষ।
তারওপর আন্দোলনের কারণে সরবরাহ ঘাটতিতে মাছ, মাংস ও সবজির দামও চড়া। তাই চাহিদার চেয়েও কম পণ্যেই কোনো রকম দিন পার করার চেষ্টা বাসিন্দাদের। এতে ব্যবসায় মন্দার ধাক্কা লাগায় মাথায় বাজ পড়ার মতো অবস্থা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের।
আরজি কর কাণ্ডে বিচারের দাবিতে হওয়া আন্দোলনে যে শুধু নিত্যপণ্যের বাজারেই প্রভাব পড়ছে তা নয়। বিশেষ করে বাংলাদেশি পর্যটকদের আনাগোনা কমায় নিউমার্কেট এলাকার শপিংমল থেকে শুরু করে আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁর আয়েও ভাটা পড়েছে।
এমনকি লোকসান গুণতে হচ্ছে মিষ্টি ও স্বর্ণালঙ্কারের দোকানিদেরও। তবুও আরজি করের নারী চিকিৎসককে নৃশংসভাবে হত্যার বিচারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থনের কথা জানান ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গবাসীর নজর এখন টেলিভিশন কিংবা সংবাদপত্রের দিকে। দর্শকশূণ্যতা সিনেমা হলগুলোতেও।
সিনেমার পাশাপাশি টেলিভিশনের জনপ্রিয় সিরিয়ালগুলোতেও খুব একটা আগ্রহ নেই সাধারণ দর্শকের। এতে অন্যান্য ব্যবসার মতো মন্দার হাওয়া লেগেছে কলকাতার শোবিজ অঙ্গনেও।