বিদেশে এখন
0

পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা নেমেছে অর্ধেকে

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসকদের টানা আন্দোলনে সরকারি হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে গেছে। এক মাস আগেও দিনে গড়ে ৭০ হাজার রোগী বহির্বিভাগে সেবা পেলেও বর্তমানে তা ৩৫ হাজারের কম। তিন ভাগের একভাগে নেমে এসেছে দৈনিক অস্ত্রোপচারের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর ভিড়।

কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার একমাস হতে চললেও এখনো কোনো সুরাহা হয়নি, ধরাছোঁয়ার বাইরে মূল অপরাধীরা।

ন্যায়বিচার ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিদিনই চলছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ কর্মসূচি। জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে কেবল আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নয়, রাজ্যজুড়ে বিঘ্ন ঘটছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও নতুন রোগীদের স্বজনরা বলছেন, চিকিৎসকের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। হাসপাতালে স্বাভাবিক সেবা কার্যক্রমের পাশাপাশি আর জি কর কাণ্ডে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান তারা।

বিক্ষোভের জেরে আরজি করে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে বাধ্য হয়ে রোগী নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছেন স্বজনরা।

ন্যায়বিচারের দাবিতে ক্ষোভের আগুন এতোটাই তীব্র হয়েছে যে ৯ আগস্টের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে জন্ম নেয়া প্রতিবাদ-গণআন্দোলন গড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি পর্যন্ত। ন্যায় বিলম্বিত, মানে ন্যায়বিচারের অধিকার প্রত্যাখ্যান। তাই বিচারিক প্রক্রিয়ার বিলম্বকে ক্ষমতাসীনদের ঔদ্ধত্য বলে মনে করছেন নিহতের সহকর্মী ও বিক্ষোভরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। আপাতদৃষ্টিতে, শিগগিরই থামছে না আন্দোলন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, চিকিৎসকদের টানা আন্দোলনে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে রোগীর সংখ্যা অর্ধেকের বেশি কমেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন রাজ্যজুড়ে চিকিৎসাবঞ্চিত হচ্ছেন প্রায় ৩৫ হাজার রোগী। পূর্বনির্ধারিত অস্ত্রোপচারও দিনে স্বাভাবিক সময়ে চারশ' থেকে পাঁচশ' ছিল, যা বর্তমানে দেড়'শতে নেমে এসেছে।