বিচার যখন পাচ্ছি না উৎসবে আর থাকছি না- এমন স্লোগানে মুখর কলকাতার সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবন। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত কিংবা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কাউকেই আর তোয়াক্কা না করে স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও অভিযানের ডাক দেয় আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেলে ভবনের মূল প্রবেশপথ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়া হলে রাস্তায় বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। দাবি দাওয়া নিয়ে ভবনে প্রবেশ করতে না দিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান ধর্মঘট চালানোর হুঁশিয়ারিও দেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।
চলমান আন্দোলনের কারণে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে রাজ্য সরকার ও সুপ্রিম কোর্টের এই ন্যারেটিভকে চ্যালেঞ্জ করে আন্দোলনকারীরা বলছেন, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি ও বেহাল দশা ঢাকতে এ ধরনের অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলন ও পাঁচ দফা দাবিতে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ১৭ সেপ্টেম্বর আদালতের রায়ের পর মানুষ পুজার আনন্দে গা ভাসাবে নাকি রাজপথে থাকবে তা সময়ই বলে দেবে।
আরজি কর দুর্নীতি মামলায় আটক মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষসহ আরও চার জনকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ আদালত।
এর আগে, গতকাল সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কর্মস্থলে ফেরার নির্দেশ দিলে, একই সুরে তাল মেলান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার আরজি কর মামলার দ্বিতীয় শুনানির পর বিষ্ফোরক এক মন্তব্য করে বসেন তিনি। বলেন, একমাস ধরে আন্দোলন চলছে। এখন সবার উচিত পূজা ও উৎসবে ফেরত আসা। মমতার এই বক্তব্যের পর থেকেই উত্তাল গোটা পশ্চিমবঙ্গ।